ঢাকা, ১৯ ডিসেম্বর: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) শুক্রবার গণমাধ্যম হাউস ও সাংবাদিকদের উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। দলটি এই হামলাগুলো চালানো ব্যক্তিদের “বাংলাদেশের শত্রু” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশের জনগণ যখন নিহত ইনকিলাব মঞ্চার কথাবার্তা প্রতিনিধির মৃত্যুতে শোকাহত, ঠিক তখনই দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের উপর “লজ্জাজনক হামলা” চালানো হয়েছে। তিনি হামলার শিকারদের মধ্যে উল্লেখ করেন দ্য ডেইলি স্টার, প্রথম আলো, নিউ এজ ও সম্পাদক নূরুল কবিরসহ অন্যান্য সাংবাদিকদের।
ফখরুল সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, এগুলো প্রমাণ করে, ক্রান্তিকাল তারা হাতছাড়া করতে চায় না। আজ তারা এই দুঃখজনক মুহূর্তটিকেই ধ্বংসযজ্ঞে রূপান্তর করেছে। আমি এই সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
তিনি মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন তৎকালীন সরকারের প্রতি দেশের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
নিহতের খবর প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাংলাদেশে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। রাজশাহী শহরে বুলডোজার ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ অফিস ধ্বংস করা হয়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি) জানায়, ‘হেজিমনির বিরুদ্ধে ছাত্ররা’ শীর্ষক ব্যানারের অধীনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (আরইউসিএসইউ), ইসলামী ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবির ও অন্যান্য সাধারণ ছাত্ররা প্রথমে সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে জমায়েত হয়ে সন্ধ্যা ১১:৩০ নাগাদ শহরের কেন্দ্রে অভিযান চালায়।
অন্য একটি ঘটনায়, রাজধানীর উত্তরা এলাকায় প্রাক্তন আওয়ামী লীগ এমপির ভাইয়ের বাড়ি অগ্নিসংযোগের শিকার হয়। ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্স বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
উন্নতি ঘটেনি; ঢাকার ধানমণ্ডিতে সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট-এর ভবনেও ভোরের সময় আগুন ধরে দেয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খালেদা ইয়াসমিন জানান, “ঘটনাটি ভোর ২:১৫ মিনিটের সময় ঘটে।”
এর আগে বুধবার, ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে কড়া উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল।
দেশে ইউনূস নেতৃত্বাধীন তৎকালীন সরকারের অধীনে সহিংসতার মাত্রা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক হারে অবনতি হচ্ছে।

