হায়দরাবাদ, ১৭ ডিসেম্বর: অস্ট্রেলিয়ার বন্ডি বিচে সাম্প্রতিক গণগুলিবর্ষণের ঘটনায় হায়দরাবাদের এক ব্যক্তির জড়িত থাকার অভিযোগকে শুধু ভারতের জন্য “অপমানজনক” নয়, বরং একটি গুরুতর জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন তেলেঙ্গানা বিজেপি সভাপতি এন রামচন্দর রাও। এই হামলায় মোট ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা-কে দেওয়া এক বক্তব্যে রাও বলেন, “অস্ট্রেলিয়ায় ঘটে যাওয়া এই সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে হায়দরাবাদের যোগ থাকা আমাদের জন্য অপমানের বিষয় হলেও, এর পাশাপাশি এটি একটি গুরুতর জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ।”
তিনি তেলেঙ্গানা পুলিশকে অনুরোধ করেছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি কোন পরিস্থিতিতে এবং কী শর্তে ভারত ছেড়েছিলেন, তা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার জন্য।
৫০ বছর বয়সি বন্দুকবাজ সাজিদ আক্রম, যিনি হামলার সময় পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হন, এখনও পর্যন্ত একটি ভারতীয় পাসপোর্ট বহন করছিলেন বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে ফিলিপিন্সের ব্যুরো অফ ইমিগ্রেশন। তেলেঙ্গানা পুলিশ আগেই নিশ্চিত করেছিল যে তিনি হায়দরাবাদের বাসিন্দা ছিলেন এবং ১৯৯৮ সালে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি দেন।
রবিবার সিডনির বন্ডি বিচে একটি হনুক্কা অনুষ্ঠানে সাজিদ আক্রম এবং তাঁর ২৪ বছর বয়সি ছেলে নাভিদ আক্রম রাইফেল নিয়ে গুলিবর্ষণ চালান। ঘটনায় নাভিদ গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশের পাহারায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। অন্যদিকে, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে সাজিদের মৃত্যু হয়।
এই ঘটনার প্রসঙ্গে রাও বলেন, এটি “একটি বিপজ্জনক প্রবণতার প্রতিফলন” এবং অভিযুক্তদের পারিবারিক পটভূমি নিয়েও পুলিশি তদন্ত হওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা ভারতের এবং বিশেষ করে হায়দরাবাদের। যদিও তাঁরা গত ২৭ বছর ধরে হায়দরাবাদে থাকেন না, তবুও সেখানে আইএসআই এবং আইএসআইএস-এর স্লিপার সেল থাকতে পারে বলে আমার আশঙ্কা।”
সংবাদমাধ্যমের এক পূর্ববর্তী প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাজিদ আক্রমের দাদা সাহিদ আক্রম হায়দরাবাদের টোলিচৌকির আল হাসরাথ কলোনিতে বসবাসকারী এক চিকিৎসক। হামলার খবর প্রকাশ্যে আসার পর তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে গেছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, ফিলিপিন্সের ব্যুরো অফ ইমিগ্রেশন জানিয়েছে, সাজিদ আক্রম চলতি বছরের নভেম্বর মাসেও সে দেশে সফর করেছিলেন।

