আমেদাবাদ, ১৭ ডিসেম্বর : বুধবার আমেদাবাদের তিনটি স্কুলে ই-মেলের মাধ্যমে বোমা হামলার হুমকি পাওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। হুমকির খবর পেয়েই স্কুল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানায় এবং সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। জননিরাপত্তার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আমেদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার শরদ সিংঘল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার তিনটি স্কুলে একটি ই-মেল আসে, যেখানে লেখা ছিল—“আমরা প্রতিশোধ নেব।” বার্তার হুমকিমূলক ভাষার কারণে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে বিষয়টি জানায়। এরপরই পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়।
যে স্কুলগুলিতে হুমকি-ইমেল এসেছে, সেগুলি হল—মহারাজা অগ্রসেন স্কুল, জাইডাস স্কুল ফর এক্সেলেন্স এবং জেব্রা স্কুল। যুগ্ম পুলিশ কমিশনার শরদ সিংঘল জানান, “প্রতিটি স্কুলে পুলিশ দল মোতায়েন রয়েছে এবং পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে।”
সূত্রের দাবি, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের সন্দেহ, খালিস্তানপন্থী কোনও গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত উপাদান এই ই-মেলের পেছনে থাকতে পারে। ফলে স্কুলগুলির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে।
পুলিশ ও ডগ স্কোয়াড স্কুল চত্বর তল্লাশি শুরু করার পর অভিভাবকদের সন্তানদের বাড়ি নিয়ে যেতে অনুরোধ করা হয়। স্কুলের পক্ষ থেকে অভিভাবকদের একটি নোটিস পাঠানো হয়, যেখানে বলা হয়, “কিছু অসুবিধার কারণে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ খালি করতে হচ্ছে। অনুগ্রহ করে যত দ্রুত সম্ভব আপনার সন্তানকে নিয়ে যান।”
এক অভিভাবক সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানান, খবর পাওয়ার মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই তিনি স্কুলে পৌঁছে যান। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ব্যবস্থা অত্যন্ত ভালো। তিনি আরও জানান, যাঁরা হোয়াটসঅ্যাপ দেখেননি, তাঁদের জন্য স্কুলের শিক্ষকরা সরাসরি ফোনও করেছিলেন।
উল্লেখ্য, এর আগেও ১২ ডিসেম্বর পঞ্জাবের অমৃতসরের একাধিক স্কুলে ই-মেলের মাধ্যমে বোমা হামলার হুমকি আসে। পরে পুলিশের অ্যান্টি-স্যাবোটাজ তল্লাশির পর সেগুলিকে ভুয়ো বলে ঘোষণা করা হয়। দিল্লিতেও ১০ ডিসেম্বর দুটি স্কুলে একই ধরনের হুমকি আসে। এমনকি সংস্কৃতি স্কুলে পাঠানো একটি ই-মেলে সরাসরি খালিস্তান আন্দোলনের উল্লেখ করে ওই দিনই বোমা বিস্ফোরণের হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
প্রতিটি ক্ষেত্রেই স্কুল কর্তৃপক্ষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে অভিভাবকদের সন্তানদের বাড়ি নিয়ে যেতে জানায়। পুলিশ জানিয়েছে, এ ধরনের হুমকিকে তারা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে এবং প্রতিটি ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা হচ্ছে।
______

