প্রধানমন্ত্রী মোদির স্বপ্নপূরণে কৃষিতে আত্মনির্ভরতা জরুরি: কৃষিমন্ত্রী

আগরতলা, ২ ডিসেম্বর: ভারতের কৃষিকে বিশ্বে শস্যভাণ্ডার হিসেবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যে স্বপ্ন, তা বাস্তবায়নে আত্মনির্ভরতা অপরিহার্য। আজ কৃষিক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতা অর্জনের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে একথা বলেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ। মোহনপুর কৃষকদের হাতে বিভিন্ন আধুনিক কৃষিযন্ত্র, চারা গাছ এবং স্প্রে মেশিন তুলে দেওয়ার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী এই কথা বলেন।

তিনি আজ মোহনপুর কৃষি মহকুমা এলাকার কৃষকদের হাতে আজ কুফরি হিমালিন জাতের আলুর বীজও তুলে দেন। পাশাপাশি কৃষি যন্ত্রপাতি, ব্লক লেভেল ফার্মার অ্যাওয়ার্ড, কৃষক বন্ধু এপয়েন্টমেন্ট দেওয়া হয়।

তিনি জানান, এই উদ্যোগ কৃষির আধুনিকীকরণ, উৎপাদন বৃদ্ধি এবং কৃষকদের আত্মনির্ভর করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। উপকরণ ও সম্পদের সহায়তায় কৃষকরা আরও দক্ষতার সঙ্গে চাষাবাদ করতে পারবেন, যার ফলে রাজ্যের কৃষি উন্নয়ন আরও দ্রুত হবে। সমস্ত ক্ষেত্রেই আমাদের দ্রুত অগ্রসর হতে হবে, এবং পরিকল্পিতভাবে ত্রিপুরা সেই দিকেই এগোচ্ছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, একই সঙ্গে আমাদের আত্মনির্ভর হতে হবে। যদি উত্তর, গোমতী, সিপাহীজলা জেলা গুলি বলে যে তারা চাল দেবে না, তবে আপনি কোথা থেকে পাবেন? তাই আত্মনির্ভরতা অত্যন্ত জরুরি। মোহনপুর ব্লকের অধীনে আমাদের অবশ্যই স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। এমনভাবে কাজ করতে হবে যাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভারত থেকে খাদ্য আমদানি করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতকে ‘গ্রেইন স্টোর’ বানানোর জন্য কাজ করছেন। তাঁর স্বপ্ন পূরণ করতে হলে আমাদের আত্মনির্ভর হতে হবে। আমাদের প্রধান ভিত্তি হলো কৃষি।

তিনি আরও জানান, আগে ধারণা ছিল ত্রিপুরায় পিঁয়াজ চাষ সম্ভব নয়, কিন্তু কৃষি কলেজের বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন যে এখানে পিঁয়াজ চাষও সফলভাবে করা যায়। আমরা লাল ও সাদা উভয় ধরনের পিঁয়াজ চাষ করি। পিঁয়াজ ও আলুচাষে আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি। যদি আমাদের কাছে চাল, পিঁয়াজ, আলু ও ডাল থাকে, তাহলে চিন্তার কোনো কারণ নেই। ত্রিপুরায় এই সবই আছে—আমাদের শুধু খাদ্যে আত্মনির্ভর হতে হবে।