ধর্মনগরে উত্তেজনা; বিজেপি সরকারের শাসনে সংবিধান আক্রান্ত, প্রতিবাদে সরব হবে প্রদেশ কংগ্রেস

আগরতলা, ২৭ নভেম্বর : ধর্মনগরে গত কয়েকদিন ধরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি অব্যাহত। শাসক দলের গুণ্ডাবাহিনী ধারাবাহিকভাবে কংগ্রেস কর্মীদের উপর আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, অথচ প্রশাসন নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করছে। এককথায় বিজেপি সরকারের দ্বারা সংবিধান আক্রান্ত হচ্ছে। আজ সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রবীর চক্রবর্তী। তাঁর সতর্কবার্তা, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে প্রদেশ কংগ্রেস রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে।

প্রবীর চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, বিজেপি সরকারের আমলে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। ধর্মনগরে বিজেপি দুষ্কৃতীরা জেলা কংগ্রেস ভবনে আগুন ধরানোর মতো ঘটনাও ঘটিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত কংগ্রেস ভবন পরিদর্শনে যান কৈলাসহরের বিধায়ক ও প্রদেশ কংগ্রেস নেতা বিরজিৎ সিনহা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোঃ বাদরুজ জামানসহ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। পরিদর্শনের পর প্রতিনিধিদল উত্তর জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে সেখানে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, কার্যালয়ের ভেতরে উপস্থিত কিছু দুষ্কৃতকারী কংগ্রেস কর্মীদের ওপর ফের হামলার চেষ্টা চালায়। প্রবীর চক্রবর্তী দাবি করেন, এই ঘটনাই প্রমাণ করে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই এবং বিরোধী দলের কণ্ঠরোধ করতে চায় শাসক দল।

তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্তাদের ‘জিরো টলারেন্স’ বা ‘কাউকে ছাড়া হবে না’ ধরনের বক্তব্য এখন রাজ্যবাসীর কাছে হাস্যকর হয়ে উঠেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে শিশু, কন্যাশিশু, নারী, তরুণ-তরুণীদের নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে।

এদিন কেন্দ্র সরকারের আনা তিনটি কালো কৃষক আইন-এর বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর দাবি, এই আইনের ফলে কৃষকরা আরও ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। তিনটি কৃষক আইন প্রত্যাহারসহ আট দফা দাবিতে আগামী ২৯ নভেম্বর রাজ্যের আটটি জেলার শাসকদের নিকট গণডেপুটেশন দেবে প্রদেশ কিষান কংগ্রেস ও অসংগঠিত শ্রমিক সংগঠন।