ঝাটসিংহপুর, ১৭ নভেম্বর : বৃহস্পতিবার, ঝাটসিংহপুর পুলিশ সাদার থানা এলাকায় বেরাম বস্তি অঞ্চলে একটি বড় ধরনের অভিযান চালিয়ে দুইজন সন্দেহভাজন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়, যেখানে স্থানীয় এলাকায় অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের একটি বড় দল থাকার সন্দেহ করা হয়েছিল। অভিযানে আটককৃতদের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৩০ জনেরও বেশি সন্দেহভাজন বাংলাদেশি নাগরিক বেরাম বস্তির একটি ভাড়া বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। ওই বাড়িটি সম্ভবত তাদের জন্য একটি অস্থায়ী আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। তথ্য পাওয়ার পর, পুলিশের একটি দল ভোর বেলায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিচয়পত্র যাচাই করতে এবং বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করে।
কিন্তু অভিযানটি খুব শীঘ্রই উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। অভিযানের সময়, কয়েকজন সন্দেহভাজন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং তাদের অনুসন্ধান প্রক্রিয়া ব্যাহত করার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী পাঠানো হয়, এবং দুটি প্লাটুন পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয় এলাকাটি সুরক্ষিত করতে।
তবে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা সত্ত্বেও, ১০ জনেরও বেশি সন্দেহভাজন দ্রুত পালিয়ে যায়। তাদের হঠাৎ করে পালানোর ঘটনা নিয়ে এলাকায় আরও বড় ধরনের একটি অপরাধী নেটওয়ার্কের উপস্থিতি সম্পর্কে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এখন পর্যন্ত, ঝাটসিংহপুর পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। স্থানীয় এলাকাগুলিতে পুলিশ ছুটে যাচ্ছে, ভাড়াটিয়া রেকর্ড যাচাই করছে এবং গোয়েন্দা ইউনিটের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে পলাতকদের পালানোর পথ চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে। আটককৃতদের পরিচয় এবং নথিপত্রও গভীরভাবে পর্যালোচনা করা হচ্ছে, যাতে তাদের জাতীয়তা, ভ্রমণ ইতিহাস এবং কোনো অপরাধমূলক সংযোগ খুঁজে পাওয়া যায়।
পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তারা জানান, তদন্তের মাধ্যমে এই গ্রুপের বসবাসের উদ্দেশ্য, সীমান্ত পেরিয়ে সম্পর্ক এবং উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের সাথে কোন ধরনের বেআইনি কর্মকাণ্ডের সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। এক পুলিশ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলেন, “আমরা সব দিক পর্যালোচনা করছি। তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

