আগরতলা, ১৭ নভেম্বর:
আখাউড়া-আগরতলা সীমান্তে অনুষ্ঠিত বিটিং রিট্রিট অনুষ্ঠানের সময়সীমা পরিবর্তন করা হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৪টার পরিবর্তে বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠান শুরু হবে। শীতের কারণে সূর্যাস্তের সময় এগিয়ে আসায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএসএফ সূত্র।
জানাগেছে, গত ১৫ নভেম্বর ২০২৫ অর্থাৎ গত শনিবার থেকেই নতুন সময়সূচি কার্যকর হয়েছে। তবে সঠিক তথ্য অনেকের কাছে না পৌঁছানোয় গত দু’দিন বহু দর্শনার্থী পুরনো সময় অনুযায়ী সীমান্তে পৌঁছে অনুষ্ঠান দেখতে পারেননি। অনুষ্ঠান আগেই শুরু হয়ে যাওয়ায় তারা মনোমুগ্ধকর বিটিং রিট্রিট উপভোগ করার সুযোগ হারান।
বিএসএফ সূত্রে খবর, শীতকালে সূর্যাস্তের সময় এগিয়ে আসে, ফলে প্রতিবারই এ সময়কালে অনুষ্ঠানের সূচিতে পরিবর্তন করা হয়। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি—এই তিন মাস মূলত পর্যটন মৌসুমও হওয়ায় দর্শনার্থীদের সুবিধা এই সময় পরিবর্তন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, নতুন সময় অনুযায়ী বিকেল চারটায় সীমান্ত এলাকায় উপস্থিত থাকলেই দর্শনার্থীরা অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবেন। তাই পর্যটক ও আগ্রহী সাধারণদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, বিটিং রিট্রিট উপভোগ করতে হলে নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত থাকতে।
প্রতিদিন অনুষ্ঠিত হওয়া বিটিং রিট্রিট অনুষ্ঠান সীমান্ত এলাকার অন্যতম আকর্ষণ। প্রতিদিন সন্ধ্যায় ভারতীয় বিএসএফ ও প্রতিবেশী দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী সুশৃঙ্খল কুচকাওয়াজ, ব্যান্ড বাজনা ও পতাকা নামানোর আনুষ্ঠানিকতা পালন করে। ১৭শ শতকের সামরিক ঐতিহ্য থেকে উৎসারিত এই অনুষ্ঠান আজ পর্যটকদের বড় আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। পাঞ্জাবের ওয়াঘা সীমান্তের মতোই দেশের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সীমান্তে ভারতের সশস্ত্র বাহিনী ও প্রতিবেশী দেশের বাহিনীর সৌহার্দ্যপূর্ণ সামরিক কায়দা প্রদর্শন এই অনুষ্ঠানের মূল বৈশিষ্ট্য।
ত্রিপুরার আখাউড়া স্থলবন্দরেও প্রতিবছর এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। দুই দেশের নিরাপত্তারক্ষীদের সমন্বিত প্রদর্শনী উপভোগ করতে স্থানীয় মানুষ থেকে শুরু করে দূরদূরান্ত থেকে আসা পর্যটকরাও সীমান্তে ভিড় জমান। দুই দেশের সৌহার্দ্য, শৃঙ্খলা ও সামরিক দক্ষতার অনন্য মেলবন্ধনই বিটিং রিট্রিটকে বিশেষভাবে জনপ্রিয় করে তুলেছে।

