বিহার বিধানসভা নির্বাচন: এনডিএ–র প্রচণ্ড জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী মোদির বক্তব্য

নয়াদিল্লি, ১৫ নভেম্বর : বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ–র ঐতিহাসিক জয়ের পর রাজধানী দিল্লির বিজেপি সদর দপ্তরে দলের কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, “২০১০ সালের পর বিহার এনডিএকে তার সবচেয়ে শক্তিশালী জনাদেশ দিয়েছে। আমি এনডিএ–র সব সহযোগী দলের পক্ষ থেকে বিহারের জনগণকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।”

প্রধানমন্ত্রী মোদি জানান, এবারের ফলাফল তুষ্টিকরণভিত্তিক পুরনো ‘এমওয়াই’ সমীকরণকে ভেঙে দিয়ে নতুন ইতিবাচক ‘মহিলা ও যুব’ ফর্মুলা তৈরি করেছে। তার কথায়, “বিহারে একসময় কিছু দল তুষ্টিকরণের এমওয়াই ফর্মুলা চালু করেছিল। কিন্তু আজকের বিজয় দেখিয়ে দিল—নতুন এমওয়াই মানে ‘মহিলা’ ও ‘যুব’। বিহারে দেশের অন্যতম সর্বোচ্চ যুব জনসংখ্যা রয়েছে, যারা ধর্ম–জাতিভেদ ভুলে উন্নতির পক্ষে ভোট দিয়েছে। তাদের স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা ও ভবিষ্যতের ইচ্ছাই পুরনো জঙ্গলরাজ ও সাম্প্রদায়িক এমওয়াইকে পরাজিত করেছে।”

মোদি বলেন, দেশের নতুন প্রজন্ম এখন ‘ভোটার তালিকার শুদ্ধিকরণ’কে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। বিহারের তরুণ ভোটাররাও এই উদ্যোগকে ব্যাপকভাবে সমর্থন করেছে। তার মতে, এই নির্বাচন প্রমাণ করেছে যে দেশের ভোটার, বিশেষ করে যুব সমাজ, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচনী প্রক্রিয়ার পক্ষে দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, “এখন সব দলের দায়িত্ব হয়ে দাঁড়ায় প্রতিটি বুথে কার্যক্রম সক্রিয় করা এবং ভোটার তালিকা শুদ্ধিকরণে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করা। এটি শুধু এনডিএ–র জয় নয়, এটি গণতন্ত্রের বিজয়।” তিনি উল্লেখ করেন, গত কয়েক বছরে প্রান্তিক ও বঞ্চিত সমাজের মধ্যে ভোটদানের হার বাড়ানো নির্বাচন কমিশনের একটি বড় সাফল্য।

বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দেন, “একসময় নকশলবাদে জর্জরিত বিহারের অনেক এলাকায় বিকেল ৩টার মধ্যেই ভোটগ্রহণ শেষ হয়ে যেত।” কিন্তু এবারের নির্বাচনে মানুষ দুর্দান্ত উৎসাহ নিয়ে ভোট দিয়েছে। মোদি বলেন, “যে বিহার ভারতের গণতন্ত্রের জন্মস্থান, সেই বিহারই আজ গণতন্ত্রবিরোধী শক্তিকে পরাস্ত করেছে। বিহার আবারও প্রমাণ করেছে—‘মিথ্যা হারবে, জনবিশ্বাস জিতবে’। জনগণ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে—জামিনে থাকা দুর্নীতিগ্রস্তদের তারা সমর্থন করবে না।”

বিহারের এই জনাদেশ–কে প্রধানমন্ত্রী মোদি ‘ভারতের গণতান্ত্রিক শক্তির বিজয়’ বলে অভিহিত করেন।