ইম্ফল, ৯ নভেম্বর: মণিপুর পাবলিক সার্ভিস কমিশনের এক গুরুতর প্রশাসনিক গাফিলতির কারণে ৯ নভেম্বর মণিপুর সিভিল সার্ভিস কম্বাইন্ড কম্পিটিটিভ (মেইনস) পরীক্ষা ২০২২ এ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, যার ফলস্বরূপ সাধারণ অধ্যয়ন পেপার III এবং পেপার IV উভয়ই বাতিল করা হয়েছে।
এটি ঘটে যখন পরীক্ষার্থীরা ইম্ফল এবং গুয়াহাটি পরীক্ষাকেন্দ্রে সকালে জিএস-IV পেপারটি পান, যা আসলে জিএস-III এর জন্য নির্ধারিত ছিল। এই ভুলটি পরীক্ষা শুরুর পরই ধরা পড়ে, যা পরবর্তী সময়ে হতাশা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
এই ঘটনার পর, কমিশন পেপার দুটির বাতিল ঘোষণা করে এবং জানায় যে সংশোধিত তারিখের ঘোষণা সন্ধ্যার মধ্যে করা হবে। তবে, যারা রাজ্যের বাইরে এবং ভিতরে থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার ভ্রমণ করেছিলেন, তাদের জন্য ইতিমধ্যেই ক্ষতি হয়ে গেছে।
অনেক পরীক্ষার্থী এই ঘটনা মণিপুর পাবলিক সার্ভিস কমিশনের “পুনরায় অব্যবস্থাপনার” আরেকটি উদাহরণ হিসেবে বিবেচনা করেছেন, যা তাদের বিশ্বাসকে আরও দুর্বল করেছে। এক পরীক্ষার্থী বললেন, “কখন আমাদের এই ভুলের জন্য মূল্য দিতে হবে? আমাদের সময়, অর্থ, এবং আশা নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার জন্য কে দায়ী হবে?”
যারা দীর্ঘ দূরত্ব ভ্রমণ করে এসেছিলেন—কিছু পরীক্ষার্থী দিল্লি ও অন্যান্য রাজ্য থেকে এসেছিলেন, যেখানে তারা জাতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন—তাদের জন্য এই বাতিলকরণ শুধু মানসিক কষ্টই নয়, বরং বড় আর্থিক ক্ষতির কারণও হয়েছে। মণিপুরে চলমান অস্থিরতার মধ্যে এয়ারফেয়ার বাড়িয়ে দেওয়ায়, বেশ কিছু পরীক্ষার্থী বলেছিলেন যে তারা পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছাতে আগের তুলনায় অনেক বেশি খরচ করেছেন।
এছাড়া, যারা ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত, তারা এই ভুলের জন্য কাজের দিন মিস করার সমস্যা তুলে ধরেছেন। অনেকেই ছুটি নিয়েছিলেন বা অপ্রতিষ্ঠিত সময় কাটাতে চেয়েছিলেন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য।
এটি প্রথম ঘটনা নয়, যেখানে এমপিএসসি জনসাধারণের সেবা প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে। এর আগে একটি পরীক্ষা উচ্চ আদালতের নির্দেশে বাতিল হয়েছিল, যেখানে অনেক ধরনের অস্বাভাবিকতা ধরা পড়েছিল।

