হাইকোর্টের রায় কার্যকর না হওয়ায় আন্দোলনে নামছে সমগ্র শিক্ষার শিক্ষকরা

আগরতলা, ৭ নভেম্বর: ত্রিপুরার সমগ্র শিক্ষার শিক্ষকরা আগামী দিনে বৃহৎ আন্দোলন পরিচালনার পরিকল্পনা করছেন। রাজ্য সরকার হাইকোর্টের রায় কার্যকর না করায় শিক্ষকদের ওপর দোষ চাপানো হয়েছে, এমন অভিযোগে তারা এখন সরাসরি আন্দোলনের পথে হাঁটবে। আজ আগরতলা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই হুশিয়ারী দিয়েছেন ত্রিপুরা রাজ্য সমগ্র শিক্ষা কর্মচারী সংঘের সভাপতি সেন্টু দাস।

তিনি জানান, ২০১৫ সালে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের আমলে সমগ্র শিক্ষার শিক্ষকরা চাকরিতে নিয়মিতকরণের দাবিতে ত্রিপুরা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে অস্থায়ী মঞ্চে আমরণ অনশন পালন করা হয়, যেখানে বর্তমান সরকারের অনেক নেতা শিক্ষকদের পাশে দাঁড়ান।

তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৮ সালের ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের সময় বিজেপির ভিশন ডকুমেন্টে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের প্রতিশ্রুতি অন্তর্ভুক্ত ছিল। ২০২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে সমগ্র শিক্ষার শিক্ষকদের নিয়মিতকরণের নির্দেশ দেয়। তখন ১১৩ জনকে নিয়মিত করা হয়, বাকিদের জন্য বেসিক এবং বাৎসরিক ৩% বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা হয়।

২০২৪ সালে সমগ্র শিক্ষার শিক্ষকরা ত্রিপুরা রাজ্য সমগ্র শিক্ষা কর্মচারী সংঘ গঠন করেন। একই বছর হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্য সরকারকে বলা হয়, ২০১১ সালের ২৯ জুলাইয়ের আগে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নিয়মিত করার জন্য টেট ও ডিএলেড-এর শর্ত প্রযোজ্য নয়। তবে রাজ্য সরকার এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে এস.এন.পি. দায়ের করেন।

শ্রী দাস জানিয়েছেন, আগামী ১২ নভেম্বর ২০২৫ সালে ত্রিপুরা রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা অধিকর্তার কাছে এক বৃহৎ র‍্যালি ও ডেপুটেশন পাঠানো হবে। এই কর্মসূচিতে সমগ্র শিক্ষার অধীনে কর্মরত সকল শিক্ষকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ভারতীয় মজদুর সংঘের পক্ষ থেকে আমরা রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করব, তারা যেন সুপ্রিম কোর্ট থেকে এস.এন.পি. প্রত্যাহার করে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সমগ্র শিক্ষার শিক্ষকদের নিয়মিত করার ব্যবস্থা নেয়। যদি মুখ্যমন্ত্রী মহোদয় আমাদের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক আলোচনার জন্য ১২ নভেম্বরের আগে আহ্বান জানান, আমরা কর্মসূচি স্থগিত রাখব।