মুজাফ্ফরপুর, ২ নভেম্বর : বিহারে নির্বাচনী প্রচার তীব্র হয়ে উঠেছে, বিশেষত রবিবার আকাশ পরিষ্কার হওয়ার পর। কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ মুজফফরপুরে এসে একটি নির্বাচনী সভায় বক্তৃতা দেন। সভায় তিনি রাজদির শাসনকালের স্মৃতি তুলে ধরে তাকে ‘জঙ্গলরাজ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
অমিত শাহ বলেন, “আপনি ভোট দিন না কাউকে বিধায়ক বা মন্ত্রী বানানোর জন্য, বরং ভোট দিন বিহারকে জঙ্গলরাজ থেকে বাঁচানোর জন্য।” তিনি আরও বলেন, “জঙ্গলরাজের প্রতিনিধিরা কাপড় এবং মুখভঙ্গি বদলিয়ে আবারও আসছে।” তিনি জনগণকে সতর্ক করে বলেন, “আপনি যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন যে এনডিএকে জয়ী করতে হবে, তাহলে বিহারে কখনও জঙ্গলরাজ আসতে পারবে না।”
অমিত শাহ বলেন, “লালু ও রাবড়ি দেবীর রাজত্বে বিহারের যে পতন হয়েছিল, সেই একই জঙ্গলরাজের নেতারা নতুন রূপে আবার আসছে।” তিনি আরও বলেন, “বিহারের জনগণ যদি সিদ্ধান্ত নেয় এনডিএকে জয়ী করার, তবে বিহারে জঙ্গলরাজের স্থান হবে না।”
অমিত শাহ লালু যাদব এবং সোনিয়া গান্ধীকে পরিবারবাদের জন্য অভিযুক্ত করেন। তিনি বলেন, “লালু যাদব এবং সোনিয়া গান্ধীকে দেশের নয়, শুধুমাত্র নিজেদের পরিবারের চিন্তা। লালু চাচ্ছেন তার ছেলে মুখ্যমন্ত্রী হোক এবং সোনিয়া চান তার ছেলে প্রধানমন্ত্রী হোক। তবে দুজনকেই বলতে চাই, জায়গা খালি নেই। বিহারে নীতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী এবং দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী।”
অমিত শাহ এনডিএ’র ঘোষণা পত্রে উল্লেখ করে বলেন, “আমরা ঘোষণা করেছি যে বিহারের এক কোটি যুবককে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে এবং প্রতিটি জেলার মধ্যে মেগা স্কিল সেন্টার স্থাপন করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “এছাড়া, ‘পিএম কিষান’ প্রকল্পের অধীনে কৃষকদের জন্য সরকারের দেওয়া ৬,০০০ টাকা বাড়িয়ে ৯,০০০ টাকা করা হবে, এবং বিহার সরকার আরও ৩,০০০ টাকা যোগ করবে, ফলে কৃষকদের বার্ষিক ৯,০০০ টাকা দেওয়া হবে।”
অমিত শাহ বলেন, “এনডিএ সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে ৫০ লাখ গরিব পরিবারকে পাকা বাড়ি দেওয়ার এবং গরিব ছাত্রদের কেজি থেকে পিজি পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষা দেওয়ার।”
এনডিএ’র উদ্দেশ্য বিহারকে আরও উন্নত এবং সমৃদ্ধ করে তোলা, যাতে রাজ্যটি দেশের মূল ধারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারে।

