আগরতলা, ১ নভেম্বর: অসাধারণ তদন্ত দক্ষতা, দ্রুত পদক্ষেপ এবং নির্যাতিতার প্রতি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নিষ্ঠার স্বীকৃতিস্বরূপ বিলোনিয়া মহিলা থানার ইন্সেপেক্টর স্বপ্না ভৌমিক কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রীর দক্ষতা পদকে পাচ্ছেন। তদন্ত ক্ষেত্রে তাঁর এই সাফল্য রাজ্য পুলিশ মহলে গর্বের বিষয় হয়ে উঠেছে।
তাঁর তদন্তাধীন ছিল বিলোনিয়া মহিলা থানার মামলা নং ২০২৪ডাব্লিউএমএন০২৯, ২০২৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ওই মামলা দায়ের করা হয়েছিল। যা ভারতীয় দণ্ড সংহিতা-এর ধারা ১২৭(১), ৯৬, ৭৬, ও ৬৫(২), এবং পকসো আইন-এর ধারা ৪ অনুযায়ী নথিভুক্ত হয়েছিল। মামলাটি নথিভুক্তির মাত্র ২৫৭ দিনের মধ্যেই দোষী সাব্যস্ত হওয়ার মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়। যা নতুন ফৌজদারি আইনগুলির আওতায় দ্রুততম বিচারপ্রক্রিয়ার এক উজ্জ্বল উদাহরণ।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর এক শিশু কন্যার নিখোঁজ হওয়ার রিপোর্ট থানায় জমা পড়ে। ইন্সপেক্টর স্বপ্না ভৌমিক তৎপরতার সঙ্গে সেদিন রাতেই নিখোঁজ কন্যাটিকে উদ্ধার করেন। পরের দিন সকালে মামলা রুজু করে তাঁর চিকিৎসা পরীক্ষা ও বিচারিক স্বীকারোক্তি সম্পন্ন করান। অত্যন্ত নিবিড় অনুসন্ধান ও প্রমাণ সংগ্রহের মাধ্যমে দ্রুতই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। ৩১.১০.২০২৪ তারিখে অর্থাৎ মাত্র ৪৭ দিনের মধ্যে চার্জশিট দাখিল করা হয় বিএনএস-এর ধারা ১২৭(১)/৯৬/৭৬/৬৫(২)/৩৫১(২) ও পকসো আইনের ধারা ৬ অনুযায়ী। মামলাটি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে বিচারাধীন হয়।
বিচার শেষে আদালত অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে। আদালত পকসো ধারায় অভিযুক্তকে ২০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকার জরিমানা করে। আনাদায়ে আরও ২ মাসের সাজা ঘোষণা করেন। তাছাড়া, বিএসএস ধারা ১৩৭(২) অনুযায়ী ২ বছরের কারাদন্ড এবং দুই হাজার টাকার জরিমানার ঘোষণা করেন। অনাদায়ে ১ মাসের জেল হেফাজতে নির্দেশ দেন। এছাড়া, নির্যাতিতাকে ২ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়েছে।
ইন্সপেক্টর স্বপ্না ভৌমিকের এই সাফল্য শুধু বিলোনিয়া নয়, সমগ্র ত্রিপুরা পুলিশের জন্য এক অনন্য প্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে।

