সীতামঢ়ি, ২৬ অক্টোবর : বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে জন সুরাজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তাঁর দল ক্ষমতায় এলে রাজ্যের মানুষকে আর কাজের সন্ধানে রাজ্যের বাইরে যেতে হবে না। চঠ উৎসব উপলক্ষে সীতামঢ়িতে এক নির্বাচনী জনসভায় তিনি বলেন, “যদি আপনারা জন সুরাজকে ভোট দেন, তবে যারা ছটের জন্য বাড়ি ফিরেছেন, তাঁদের আর কখনও কাজের জন্য বিহার ছাড়তে হবে না। বিহারের যুবকরা চান, চাকরি যেন বিহারেই মেলে। এবার বিহারে জনগণের সরকার গড়ে উঠবে।”
শুক্রবার প্রশান্ত কিশোর মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারকে কটাক্ষ করে বলেন, “যখন গুজরাতে এক লক্ষ কোটি টাকার বুলেট ট্রেন তৈরি হচ্ছে, তখন বিহারের তরুণেরা ছটের সময় বাড়ি ফেরার জন্য ট্রেনে সিটও পাচ্ছেন না।” তিনি আরও জানান, “এটাই জন সুরাজের জন্মভূমি, যেখানে সাড়ে তিন বছর আগে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। আমরা সংকল্প নিয়েছিলাম, বিহারের মানুষকে রাজনৈতিক দাসত্ব থেকে মুক্ত করব — যেখানে কখনও লালুর ভয়ে বিজেপিকে, আবার কখনও বিজেপির ভয়ে লালুকে ভোট দিতে হয়।”
তিনি আহ্বান জানান, আগামী ১০–১৫ দিনের মধ্যে বিহারের মানুষকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা বর্তমান শাসন বজায় রাখতে চান, নাকি পরিবর্তনের পথে হাঁটবেন।
এদিনই গোপালগঞ্জের নির্দল প্রার্থী অনুপ কুমার শ্রীবাস্তব জন সুরাজ পার্টিতে যোগ দেন প্রশান্ত কিশোরের উপস্থিতিতে। এর আগে ওই আসনে দলের প্রার্থী শশী শেখর সিনহা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন, এবং দল সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীবাস্তবকে সমর্থন করার।
এবারের বিহার বিধানসভা নির্বাচনে মূল লড়াই এনডিএ ও মহাগঠবন্ধনের মধ্যে। এনডিএ জোটে রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি), জনতা দল (ইউনাইটেড), লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস), হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (সেক্যুলার) এবং রাষ্ট্রীয় লোক মরচা। অন্যদিকে, রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)-এর নেতৃত্বাধীন মহাগঠবন্ধনে রয়েছে কংগ্রেস, সিপিআই (এমএল), সিপিআই, সিপিএম ও বিকাশশীল ইন্সান পার্টি (ভিআইপি)।
প্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজ পার্টি রাজ্যের সব ২৪৩টি আসনেই প্রার্থী দিচ্ছে। দুই দফায় ভোটগ্রহণ হবে—প্রথম দফা ৬ নভেম্বর এবং দ্বিতীয় দফা ১১ নভেম্বর। ফল ঘোষণা করা হবে ১৪ নভেম্বর।

