“ক্ষমতার লোভে আপস করেছেন চিরাগ”: তেজস্বী যাদবের কটাক্ষ

পাটনা, ২৬ অক্টোবর : বিহার নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক তীব্রতা বাড়ছে। রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) নেতা ও মহাগঠবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদব শনিবার লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস) প্রধান চিরাগ পাসওয়ানকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, চিরাগ “ক্ষমতার লোভে” আপস করেছেন।

তেজস্বী এই মন্তব্য করেন চিরাগের সাম্প্রতিক অভিযোগের জবাবে। চিরাগ পাসওয়ান দাবি করেছিলেন, ২০০৫ সালে তাঁর পিতা রামবিলাস পাসওয়ান বিহারে একজন মুসলিম মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছিলেন, কিন্তু আরজেডি সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। এ প্রসঙ্গে তেজস্বী বলেন, “ও কী বলছে বা বলছে না, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। প্রশ্ন হল, ওর দৃষ্টিভঙ্গি কী? চিরাগ আসলে এনডিএ-তে অস্বস্তিতে আছে।”

আরজেডি নেতার অভিযোগ, “এনডিএ-র লোকেরাই চিরাগের পরিবারে আগুন লাগিয়েছিল।” তিনি ইঙ্গিত দেন রামবিলাস পাসওয়ানের মৃত্যুর পর চিরাগ ও তাঁর কাকা পশুপতি কুমার পারাসের মধ্যে দলে যে বিভাজন তৈরি হয়েছিল, সেটির দিকেই। তেজস্বীর ভাষায়, “চিরাগ ক্ষমতার লোভে এনডিএ-র সঙ্গে আছে। ক্ষমতার জন্যই সে আপস করে। তাই ওর বক্তব্যের কোনো গুরুত্ব নেই।”

এর আগে চিরাগ পাসওয়ান আরজেডিকে আক্রমণ করে বলেছিলেন, দলটি আজও মুসলিম মুখ্যমন্ত্রী বা উপ-মুখ্যমন্ত্রী দিতে প্রস্তুত নয়। তিনি এক্স-এ পোস্ট করে লেখেন, “২০০৫ সালে আমার নেতা, আমার পিতা রামবিলাস পাসওয়ানজী, এক মুসলিম মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য নিজের দলকেও উৎসর্গ করতে চেয়েছিলেন — তবু আরজেডি সমর্থন দেয়নি। আজ ২০২৫ সালেও আরজেডি মুসলিম মুখ্যমন্ত্রী বা উপ-মুখ্যমন্ত্রী দিতে রাজি নয়।”

চিরাগ আরও প্রশ্ন তোলেন, “যদি আপনারা সবসময় একঘেয়ে ভোটব্যাঙ্ক হয়ে থাকেন, তাহলে কবে সম্মান ও অংশীদারিত্ব পাবেন?”

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে দু’দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছিল, কারণ প্রথম দফায় কোনও দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। তখন এনডিএ (জেডিইউ ও বিজেপি) পেয়েছিল ৯২টি আসন, আরজেডি ৭৫টি, এলজেপি ২৯টি এবং কংগ্রেস ১০টি আসন। রামবিলাস পাসওয়ান তখন ঘোষণা করেছিলেন, তাঁর দল কেবল সেই সরকারকেই সমর্থন দেবে, যেখানে একজন মুসলিম মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। কিন্তু আরজেডি রাজি না হওয়ায় সরকার গঠন সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে অক্টোবরে পুনর্নির্বাচনে এনডিএ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার গঠন করে।