নয়াদিল্লি, ২৫ অক্টোবর : দীপাবলির পর দিল্লি-এনসিআর জুড়ে বায়ুদূষণ উদ্বেগজনক মাত্রায় পৌঁছেছে। এমন পরিস্থিতিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা শুক্রবার বলেন, রাজধানীর দূষণ নিয়ন্ত্রণে ক্লাউড সিডিং বা কৃত্রিম বৃষ্টি এখন “অপরিহার্য”।
বিজেপি নেত্রী গুপ্তা বৃহস্পতিবারই দিল্লিতে কৃত্রিম বৃষ্টির পরীক্ষামূলক প্রকল্প ঘোষণা করেন। শুক্রবার সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে তিনি বলেন, দিল্লির মতো শহরের জন্য ক্লাউড সিডিং একেবারে প্রয়োজনীয়। এটি এই ধরনের প্রথম পরীক্ষা, এবং আমরা দেখতে চাই এটি কীভাবে এই গুরুতর পরিবেশগত সমস্যার সমাধানে সাহায্য করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, দিল্লির জনগণের আশীর্বাদ সরকারের সঙ্গে রয়েছে। আমরা আশাবাদী, এই পরীক্ষা সফল হবে এবং ভবিষ্যতে আমরা এই ধরনের পরিবেশগত সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারব। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যেই নতুন দিল্লির বুরারিতে প্রাথমিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী সপ্তাহেই রাজধানী প্রথমবারের মতো কৃত্রিম বৃষ্টির সাক্ষী হতে পারে।
রেখা গুপ্তা এক্স -এ একটি পোস্টে লেখেন, আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২৮, ২৯ ও ৩০ অক্টোবর মেঘাচ্ছন্ন পরিস্থিতি থাকতে পারে। যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে, তবে দিল্লিতে ২৯ অক্টোবর প্রথম কৃত্রিম বৃষ্টি ঘটানো হবে।
তিনি আরও যোগ করেন, এই উদ্যোগটি কেবল প্রযুক্তিগতভাবে ঐতিহাসিক নয়, এটি দিল্লির দূষণ মোকাবিলায় বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। সরকারের লক্ষ্য হল এই প্রযুক্তির মাধ্যমে রাজধানীর বায়ু পরিশুদ্ধ করা এবং পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা।
দীপাবলির রাতে বিপুল পরিমাণ আতশবাজি ফাটানোর পর দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বায়ুগুণমান সূচক গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছেছে।বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর বায়ুতে দূষণের মাত্রা দ্রুত বাড়ে। অক্টোবরের প্রথম ১৯ দিন দিল্লির বাতাসে ওজোন ও কার্বন মনোক্সাইড-এর মতো ফোটোকেমিক্যাল দূষক প্রাধান্য পাচ্ছিল। তবে গত চার দিনে বাতাসে পার্থক্যমান ধূলিকণা -এর ঘনত্ব ভয়াবহভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার আশা করছে, কৃত্রিম বৃষ্টির মাধ্যমে অন্তত কিছুটা সময়ের জন্য দিল্লির আকাশে দূষণ কমে গিয়ে স্বস্তি ফিরবে।

