অন্ধ্রপ্রদেশ বাস দুর্ঘটনা: প্রাণহানিতে শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর, নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা

নয়াদিল্লি, ২৪ অক্টোবর :অন্ধ্রপ্রদেশের কর্ণুল জেলায় ভয়াবহ বাস অগ্নিকাণ্ডে ১১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি নিহতদের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করেছেন।

শুক্রবার ভোরে কর্ণুল জেলার চিন্তাটেকুর গ্রামের কাছে একটি বেসরকারি ভলভো বাস মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো বাসটি ভস্মীভূত হয়ে যায়। প্রায় ৪০ জন যাত্রী নিয়ে হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিল বাসটি।

প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স -এ এক পোস্টে লিখেছে,
আন্ধ্রপ্রদেশের কর্ণুল জেলায় ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণহানিতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। এই দুঃসময়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানাই এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও উপরাষ্ট্রপতি সি.পি. রাধাকৃষ্ণনও ঘটনাটিতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। রাষ্ট্রপতি মুর্মু তাঁর এক্স পোস্টে লিখেছেন, আন্ধ্রপ্রদেশের কর্ণুল জেলায় বাস অগ্নিকাণ্ডে বহু প্রাণহানি অত্যন্ত মর্মান্তিক। শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোর প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।

উপরাষ্ট্রপতি রাধাকৃষ্ণনও তাঁর শোকবার্তায় বলেন, কর্ণুল জেলার বাস অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।

আন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন. চন্দ্রবাবু নাইডু ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, কর্ণুল জেলার চিনা টেকুর গ্রামের কাছে ভয়াবহ বাস অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে আমি মর্মাহত। নিহতদের পরিবারগুলোর প্রতি গভীর সহানুভূতি জানাচ্ছি। সরকার আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের সবরকম সাহায্য করবে।”

রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী মণ্ডিপল্লি রামপ্রসাদ রেড্ডি ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। তিনি বলেন, এত প্রাণহানি সত্যিই হৃদয়বিদারক। আহতদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য কর্ণুল সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং সর্বোচ্চ চিকিৎসা সুনিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় প্রায় ১৯ জন যাত্রী জরুরি জানালা ভেঙে প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হন। তবে বাসটি সম্পূর্ণরূপে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঘটনার কারণ হিসেবে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষের পর আগুন লাগাকে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।