প্রধানমন্ত্রী মোদী করওয়ারে আইএনএস বিক্রান্তে নৌসেনার সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করলেন

নয়াদিল্লি, ২২ অক্টোবর : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ বছরও দীপাবলির দিন সীমান্তে মোতায়েন জওয়ানদের সঙ্গে উৎসব পালন করার নিজের দীর্ঘদিনের রীতি বজায় রাখলেন। ২০২৫ সালে তিনি কর্নাটকের করওয়ার উপকূলে নোঙর করা ভারতের প্রথম দেশীয় নির্মিত এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার আইএনএস বিক্রান্ত-এ উপস্থিত থেকে ভারতীয় নৌবাহিনীর অফিসার ও নাবিকদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করেন। তাঁর এই বার্ষিক উদ্যোগ দেশপ্রেম এবং সেনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের এক দৃঢ় প্রতীক হয়ে উঠেছে, যা “দেশই পরিবার” — এই বার্তাকে আরও একবার সামনে এনেছে।

প্রধানমন্ত্রীর এই অনন্য উদ্যোগ প্রতিবারের মতো এবারও শুধু একটি প্রতীকী আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং তা হয়ে উঠেছে এক গভীর রাষ্ট্রীয় অনুভূতির প্রকাশ। তাঁর দীপ জ্বালানোয় প্রতিফলিত হয় সেই বিশ্বাস যে দেশের সীমান্তে যে জওয়ানরা অচলাবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন, তাঁদের আত্মত্যাগেই আজ ঘরে ঘরে আলোর উৎসব উদযাপিত হচ্ছে। দীপাবলিতে সীমান্তে জওয়ানদের সঙ্গে উপস্থিত থেকে তিনি সেনার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং তাঁদের মনোবল বাড়ানোর বার্তা দেন।

প্রধানমন্ত্রী মোদী ২০১৪ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই প্রতি বছর সীমান্তবর্তী বা কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় দীপাবলি কাটান সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে। গত এক দশকে তিনি সিয়াচিন, কারগিল, রাজস্থান, জম্মু-কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, গুজরাট থেকে শুরু করে বিদেশি উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া জওয়ানদের সঙ্গেও দীপাবলি পালন করেছেন। প্রতিবারই তিনি জওয়ানদের সঙ্গে মিষ্টি ভাগ করে নিয়ে তাঁদের সাহস ও ত্যাগের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এই উদ্যোগ শুধুমাত্র এক প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক সফর নয়—এটি দেশের কোটি কোটি নাগরিকের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীর প্রতি সম্মান ও ভালোবাসার একটি আন্তরিক বার্তা। সীমান্তে দীপ জ্বালানো আজ এক ঐক্যবদ্ধ জাতীয় চেতনার প্রতীক হয়ে উঠেছে, যা সেনা-নাগরিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করে তোলে এবং জাতীয় সংহতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।