অযোধ্যায় দীপাবলিতে নতুন ইতিহাসের দ্বারপ্রান্তে, ২৬ লক্ষেরও বেশি দীপ জ্বালিয়ে তিনটি গিনেস রেকর্ড গড়ার প্রস্তুতি

অযোধ্যা, ১৮ অক্টোবর : প্রাচীন শহর অযোধ্যা আবারও ইতিহাস রচনার পথে। এবারের দীপাবলি উদ্‌যাপন ঘিরে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এর প্রতিনিধিরা ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত। এইবার শহরটি তিনটি নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে এগোচ্ছে, যার মধ্যে অন্যতম ২৬,১১,১০১টি প্রদীপ জ্বালানো এবং একযোগে ২,১০০ জনের মহা আরতির আয়োজন।

অযোধ্যার রাম কি পৈড়ি-র ঘাটজুড়ে বিশাল আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। প্রায় ৩৫,০০০ স্বেচ্ছাসেবক, যারা অযোধ্যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, তাঁরা একসঙ্গে এই প্রদীপ প্রজ্বলনের দায়িত্বে রয়েছেন। গত বছর প্রায় ২৫ লক্ষ দীপ জ্বালানো হয়েছিল, তবে এবারে লক্ষ্যমাত্রা আরও উচ্চতর — প্রায় ২৯ লক্ষ দীপ স্থাপন ও প্রজ্বলনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এর প্রায় ১৫০ সদস্যের একটি দল শুধুমাত্র পর্যবেক্ষণ নয়, বরং রেকর্ড যাচাইয়ের কাজে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন। পরামর্শদাতা নিশ্চল বারুল জানান, প্রদীপ গণনার জন্য তিনটি পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে — ড্রোন নজরদারি, হাই-টেক সফটওয়্যার ও ডিজিটাল অডিটিং সিস্টেম।

নিশ্চল বারুল আরও বলেন, “প্রত্যেকটি প্রদীপ সঠিকভাবে গণনা করা হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে — ড্রাই রান, ডিজিটাল ম্যাপিং ও সরাসরি ড্রোন পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে। আমরা শুধু ইতিহাস পুনরাবৃত্তি করছি না, বরং নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করছি।”

প্রদীপ প্রজ্বলনের পাশাপাশি, সারযূ নদীর তীরে ২,১০০ জনের সমবেত মহাআরতির প্রস্তুতিও চূড়ান্ত পর্যায়ে। এই আয়োজনকেও গিনেস রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই মহাযজ্ঞ সফল করতে ১৯০ সদস্যের একটি বিশেষ দল নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। অংশগ্রহণকারীদের গতিবিধি ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে একটি বিশেষ সফটওয়্যারও তৈরি করা হয়েছে।

নিশ্চল বারুল জানিয়েছেন, “আরতির জন্যও ড্রাই রান, ড্রোন ফুটেজ এবং ডিজিটাল ভেরিফিকেশন টুল ব্যবহার করা হচ্ছে, যাতে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও নির্ভুল হয়।”

এই বছরের দীপোৎসব শুধুমাত্র আলোর উৎসব নয়, এটি ঐক্য, সংস্কৃতি ও বৈশ্বিক স্বীকৃতির এক মহোৎসব — যা অযোধ্যার ঘাটগুলিকে নয়, গোটা বিশ্বের ইতিহাসের পাতাকেও আলোকিত করতে চলেছে।