মন্ত্রী সুধাংশু দাসের ঘুষ স্বীকারোক্তি, বরখাস্তের দাবি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির

আগরতলা, ১৫ অক্টোবর: প্রকাশ্যে ঘুষ নেওয়ার স্বীকারোক্তি করে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্কের মুখে পড়েছেন মন্ত্রী সুধাংশু দাস। এই ঘটনাকে ঘিরে রাজ্য জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যেই মন্ত্রীকে মন্ত্রিসভা থেকে অবিলম্বে বরখাস্ত করার দাবি জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশিস কুমার সাহা।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বিবৃতি জারি করে বলেন, মন্ত্রী সুধাংশু দাস স্বীকার করেন তিনি “নানা সোর্স” থেকে টাকা নিয়ে থাকেন এবং মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরাও একই কাজ করে থাকেন। যদিও তিনি একে ‘ঘুষ’ বলতে চাননি, বরং ‘প্রণামী’ বা ‘নৈবেদ্য’ বলে উল্লেখ করেছেন। তবে তাঁর এই বক্তব্যকে ঘুষের স্বীকারোক্তি বলেই দেখছে বিরোধীরা।

এই পরিস্থিতিতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিজ সাহা–কে উদ্দেশ্য করে একটি চিঠিতে লিখেছেন, মন্ত্রী নিজেই দুর্নীতিমূলক কাজের কথা স্বীকার করেছেন। শুধু তাই নয়, অন্যান্য মন্ত্রীদেরও জড়িত থাকার কথা বলেছেন। অথচ সরকার সম্পূর্ণ নীরব। এটা শুধু দুর্নীতির স্বীকৃতি নয়, সরকারের নৈতিক দেউলিয়াপনাও স্পষ্ট করছে।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, মন্ত্রী সুধাংশু দাস ও তাঁর পরিবারের ২০১৮ সালের পূর্বে বি.পি.এল তালিকাভুক্ত থাকার পরেও বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তাদের নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির অভিযোগ উঠেছে। তা সত্ত্বেও না রাজ্য সরকার, না কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি (ইডি, সিবিআই, আইটি) কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির সাফ অভিযোগ, এ যেন পুরো বিজেপি সরকারটাই একটা ‘ওয়াশিং মেশিন’-এ পরিণত হয়েছে। দুর্নীতির স্বীকারোক্তি থাকা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া শুধু দুর্নীতিকে প্রশ্রয় নয়, তা সংবিধানকেও অসম্মান করা।

তাঁর দাবি, অবিলম্বে মন্ত্রী সুধাংশু দাসকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করে তাঁর এবং তাঁর পরিবারের আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি অন্যান্য মন্ত্রীদের বিরুদ্ধেও একইভাবে তদন্ত চালিয়ে দোষী প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।