তেজস্বী যাদবের বড় প্রতিশ্রুতি: “প্রতি পরিবারে একটি করে সরকারি চাকরি”, বিহার ভোটের আগে ঐতিহাসিক ঘোষণা

পটনা, ৯ অক্টোবর: ২০২৫ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে বড় প্রতিশ্রুতি দিলেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা তেজস্বী যাদব। বৃহস্পতিবার এক নির্বাচনী সভায় তিনি ঘোষণা করেন, তাদের সরকার গঠিত হলে বিহারের প্রত্যেক পরিবারকে অন্তত একটি করে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে। একে তিনি “ঐতিহাসিক ও বিপ্লবাত্মক পদক্ষেপ” বলে আখ্যা দেন।

তেজস্বী বলেন, “সরকার গঠনের ২০ মাসের মধ্যে বিহারের এমন কোনও পরিবার থাকবে না, যাদের ঘরে একজনও সরকারি চাকরি নেই। এটি আমার প্রথম সিদ্ধান্ত হবে, এবং প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রস্তাবে স্বাক্ষর করা হবে।”

তিনি আরও বলেন, “এটি শুধু সূচনা, আরও বড় বড় ঘোষণা আসবে শিগগিরই।”

এই ঘোষণার পরেই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স -এ একটি পোস্টে তেজস্বী লেখেন, “অর্থনৈতিক ন্যায়বিচারের আওতায় আমরা আজ একটি ঐতিহাসিক ও রূপান্তরকামী ঘোষণা করেছি। বিহারের যেসব পরিবারে কেউ সরকারি চাকরিতে নেই, তাদের বাধ্যতামূলকভাবে চাকরি দেওয়ার জন্য নতুন আইন আনা হবে।”

২০২০ সালের নির্বাচনে ১০ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তেজস্বী। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, “বর্তমান সরকার গত ২০ বছরে চাকরির কথা ভাবেনি। আমি যখন উপ-মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখন পাঁচ লক্ষ চাকরি দিয়েছিলাম। কল্পনা করুন, যদি আমি পুরো পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় থাকতাম, তাহলে আরও কত কিছু করা যেত!”

তিনি এনডিএ-র সমালোচনা করে বলেন, “ওরা চাকরির জায়গায় বেকার ভাতা চালু করেছে। আমরা এই প্রবণতা পাল্টাব। সরকার গঠনের ২০ দিনের মধ্যে নতুন আইন আনব, এবং ২০ মাসের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করব।”

২০২৫ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচন হবে দু’দফায় — ৬ নভেম্বর ও ১১ নভেম্বর। ফলাফল ঘোষণা হবে ১৪ নভেম্বর। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ১ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত বিহারে মোট ভোটার সংখ্যা ৭.২৪ কোটি। জুন মাসে এই সংখ্যা ছিল ৭.৮৯ কোটি, অর্থাৎ খসড়া তালিকা থেকে প্রায় ৬৫ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে।

তেজস্বীর এই বড় প্রতিশ্রুতি বিহার নির্বাচনে কতটা প্রভাব ফেলবে, তা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন।