আগরতলা, ৯ অক্টোবর: জন্মদিন নিয়ে বিজেপির কটাক্ষের জবাবে ভাবাবেগে ভাসলেন বিধায়িকা বিরবাঁহা হাঁসদা। কারণ, আমি তো আদিবাসী, তাই আদিবাসীদের কেক খাওয়া বারণ রয়েছে। বিজেপি তাঁর সরল আচরণকেই বিতর্কিত ভিডিওর মাধ্যমে অপমানের অস্ত্রে পরিণত করেছে।
ঘটনার সূত্রপাত বিরবাঁহার জন্মদিনকে কেন্দ্র করে। প্রদেশ বিজেপির তরফে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে লেখা হয় “মাননীয়া বিধায়িকা বিরবাঁহা হাঁসদা দিদিকে প্রথমত বিজেপি ত্রিপুরার পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। আপনি জন্মদিন উৎযাপনের জন্য ত্রিপুরায় এসেছেন জেনে আমরা আনন্দিত। জানলে ত্রিপুরার বহু পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে কোনো একটিতে আপনার জন্মদিন উদ্যাপনের ব্যবস্থা করতাম।
এই পোস্ট ঘিরেই বিতর্ক। তৃণমূলের দাবি, এটিই আসলে পরোক্ষ কটাক্ষ। আর সেই সুরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিধায়িকা বলেন, তাঁর জন্মদিন উপলক্ষ্যে দমদম বিমানবন্দরে সহকর্মীদের কেক খাইয়ে মিষ্টিমুখ করিয়েছিলেন তিনি। নিজেদের দোষ ঢাকতে সেই ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল করে কুৎসা ছড়ানো অপচেষ্টা করে গেরুয়া শিবির।সরল আচরণকেই বিতর্কিত ভিডিওর মাধ্যমে অপমানের অস্ত্রে পরিণত করেছে বিজেপি
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন দলীয় কার্যালয়ে পালিত হলে কেউ প্রশ্ন তোলে না। কারণ তিনি আদিবাসী নন। কিন্তু আমি তো আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। আমাদের ধর্মে কেক খাওয়া বারণ রয়েছে। আদিবাসীবিরোধী বিজেপি এই ভিডিওকে প্রচার করে আমার সম্মানহানি করেছে। এটি শুধু একজন মন্ত্রীর প্রতি অসম্মান নয়, বরং গোটা আদিবাসী সমাজের প্রতি অবমাননার সমান।
তাঁর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নাকি আমার মতো আদিবাসী নেতাদের “পায়ের নিচে পিষে ফেলার মতো শিশু” বলে মন্তব্য করেছিলেন। তৃণমূলের মতে, এই মন্তব্য বিজেপির আদিবাসীবিরোধী মানসিকতার প্রকট উদাহরণ।
এখানেই না থেমে তিনি কড়া ভাষায় বিজেপিকে আক্রমণ করেন, একজন মহিলার জন্মদিনে কেক খাওয়ানো নিয়ে যারা নোংরামি করে, তারা কখনো বাংলাকে দখল করতে পারবে না। আদিবাসীদের অপমান করে কেউ ক্ষমতায় আসতে পারে না।

