চেন্নাই/ছিন্দওয়ারা, ৯ অক্টোবর: মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা, বেতুল ও পাণ্ডুরনা জেলায় ২০ শিশুর মৃত্যুর সঙ্গে যুক্ত কলড্রিফ কফ সিরাপ উৎপাদনকারী সংস্থা তামিলনাড়ুর স্রেসান ফার্মাসিউটিক্যালস-এর মালিক রঙ্গনাথনকে শেষমেশ গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার পুলিশ জানায়, বিশেষ তদন্তকারী দল চেন্নাইয়ে অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করে গ্রেফতার করেছে।
ছিন্দওয়ারার পুলিশ সুপার অজয় পাণ্ডে বলেন, “এসআইটি টিম ছিন্দওয়ারা থেকে চেন্নাই গিয়ে স্রেসান ফার্মার মালিক রঙ্গনাথনকে গভীর রাতে আটক করে। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিয়মমাফিক তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষা এবং অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া চেন্নাইতেই সম্পন্ন করা হবে। এরপর তাঁকে ছিন্দওয়ারা আনা হবে।”
এর আগে, বুধবার মধ্যপ্রদেশ পুলিশ রঙ্গনাথনের খোঁজে তথ্য দেওয়ার জন্য ২০,০০০ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। পুলিশ জানিয়েছিল, তামিলনাড়ু গিয়ে তাঁরা অভিযুক্তের খোঁজ পাননি, তাই তথ্য চেয়ে পুরস্কারের ঘোষণা করা হয়।
মধ্যপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেন্দ্র শুক্ল বুধবার বলেন, “এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় ২০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে—যার মধ্যে ১৭ জন ছিন্দওয়ারা, ২ জন বেতুল এবং ১ জন পাণ্ডুরনার বাসিন্দা। ৫ জন শিশু এখনও চিকিৎসাধীন। রাজ্য সরকার এই ঘটনায় কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। অভিযুক্ত সংস্থার মালিককে ধরতে ছিন্দওয়ারা পুলিশের টিম চেন্নাই ও কাঞ্চিপুরমে পৌঁছেছে।”
এদিকে, ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে ১৯৪৫ সালের ড্রাগস রুলস কঠোরভাবে মানার নির্দেশ দিয়েছে।
৭ অক্টোবর তারিখে জারি করা চিঠিতে ডিসিজিআই ড. রাজীব সিং রঘুবংশী বলেন, “নতুন রসায়নিক উপাদান ও এক্সিপিয়েন্টস ব্যবহারের আগে তা পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাঁচামাল ও প্রস্তুত ওষুধ উভয় ক্ষেত্রেই মান নিয়ন্ত্রণে কোনো ধরনের গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না।”
এই ঘটনার পর ওষুধ শিল্পে মান নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রক পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে বলে জানা গেছে।

