দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে টানা বৃষ্টি ও ভূমিধসে ২০ জনেরও বেশি নিহত, যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত

দার্জিলিং, ৫ অক্টোবরঃ দার্জিলিং ও পার্শ্ববর্তী পাহাড়ি এলাকায় টানা প্রবল বর্ষণ ও একাধিক ভূমিধসের ফলে অন্তত ২০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মিরিক, কুরসিয়ং, রাংভাং ও পুল বাজার এলাকাগুলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কালিম্পং জেলার বিভিন্ন অংশেও ভূমিধসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। তিস্তা নদী বর্তমানে ফুলেফেঁপে উঠেছে, এবং এর জল একাধিক স্থানে জাতীয় সড়ক-১০-এর উপর উঠে গেছে, যার ফলে সিলিগুড়ির সঙ্গে দার্জিলিং ও সিকিমের যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ব্যাহত হয়েছে।

মিরিকে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে — সেখানে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৪ জন আহতকে নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল-এ ভর্তি করা হয়েছে। দার্জিলিংয়ের সুখিয়া পোখরি এলাকায় ৬ জনের মৃত্যু ও ১ জন নিখোঁজ বলে জানা গেছে। বিজনবাড়ি এলাকা থেকেও একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

টানা বর্ষণের ফলে সিলিগুড়ি ও মিরিককে যুক্ত করা দুধিয়া সেতু ধসে পড়েছে, যার ফলে দার্জিলিং, কুরসিয়ং, মিরিক, কালিম্পং ও সিকিমের মধ্যে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। একাধিক বাড়িঘর ভেসে গেছে এবং বহু চাষের জমি জলে তলিয়ে গেছে।

জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় দমকল, পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী দ্রুত উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে নেমেছে। দুর্গতদের জন্য অস্থায়ী ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।

এদিকে, লোকসভা সাংসদ রাজু বিস্ট এবং রাজ্যসভা সাংসদ এম.পি. হর্ষবর্ধন শৃঙ্গলা দুর্গত এলাকায় সাহায্য ও পুনর্বাসনের তদারকি করছেন। তাঁরা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সমন্বয়ে ত্রাণ ও পুনর্গঠন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার আশ্বাস দিয়েছেন।

প্রশাসন নাগরিকদের পাহাড়ি রাস্তায় অপ্রয়োজনীয় যাতায়াত থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং আবহাওয়া দপ্তর আরও ২৪ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে।