গভীর জঙ্গল থেকে নিখোঁজ ব্যক্তির পঁচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার

শান্তিরবাজার, ৪ অক্টোবর : বাইখোড়া থানার অন্তর্গত কলসী শালবাগান এলাকা থেকে এক ব্যক্তির পঁচা-গলা মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে গোটা এলাকায়। মৃতদেহটি শনিবার সকালে উদ্ধার করে বাইখোড়া থানার পুলিশ। মৃত ব্যক্তির নাম তুহিলা মগ (৩২), যিনি কলসীর বাসিন্দা ছিলেন। পাশাপাশি শান্তির বাজার এলাকাতেও তার একটি বাড়ি রয়েছে।

ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল আনুমানিক ৯টার সময় কলসী শালবাগান এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জঙ্গল থেকে তীব্র পঁচা গন্ধ পেয়ে সন্দেহজনকভাবে আশপাশে খোঁজ শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই জঙ্গলের ভিতর একটি পঁচা গলা মৃতদেহ দেখতে পেয়ে তারা তৎক্ষণাৎ বাইখোড়া থানায় খবর দেন।

খবর পেয়ে বাইখোড়া থানার ওসি বিষ্ণু চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে একটি পুলিশ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চালায়। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর মৃত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়।

ওসি বিষ্ণু চন্দ্র দাস জানান, মৃত ব্যক্তি তুহিলা মগ, বয়স আনুমানিক ৩২ বছর। তিনি কলসী এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। শান্তির বাজারে তার আরেকটি বাড়ি রয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, গত মঙ্গলবার তিনি কলসী বাসভবন থেকে শান্তির বাজারে গিয়েছিলেন এবং সেখান থেকে আর বাড়ি ফেরেননি।

মৃত ব্যক্তির স্ত্রী পুলিশকে জানান, তার স্বামী প্রায়ই কাজের জন্য বাইরে যেতেন এবং এক-দুদিন বাড়ির বাইরে থাকতেন। তাই এবারও তিনি বাড়ি না ফেরায় পরিবারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো সন্দেহ সৃষ্টি হয়নি, ফলে থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

দেহের অধিকাংশ অংশ পঁচে যাওয়ায় পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থলেই প্রাথমিক তদন্ত শেষ করা হয় এবং দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। তবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। মৃত্যুর পেছনে আত্মহত্যা, দুর্ঘটনা না কি কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। বাইখোড়া থানার পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে এবং মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনের জন্য তদন্ত শুরু করেছে।

ওসি বিষ্ণু চন্দ্র দাস জানান, “আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। প্রয়োজনে কল ডিটেলস, সিসিটিভি ফুটেজ ও অন্যান্য প্রযুক্তিগত দিকও খতিয়ে দেখা হবে।”