কারুর পদদলনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের আর্জি খারিজ করল মাদ্রাজ হাইকোর্ট

চেন্নাই, ৩ অক্টোবর : অভিনেতা থেকে রাজনীতিবিদে পরিণত বিজয়-এর রোডশো চলাকালীন করুরে ঘটে যাওয়া পদদলনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে বিজেপি নেত্রী উমা আনন্দন হাইকোর্টে আবেদন জানালেও, তা খারিজ করে দিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিজয়ের নির্বাচনী প্রচারের সময় তামিলাগা ভেট্ট্রি কাজাগম এর সমর্থকদের বিশৃঙ্খল আচরণের কারণে পদদলনের ঘটনা ঘটে, যেখানে বহু মানুষ আহত হন এবং কিছু মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। এই ঘটনাকে ঘিরে তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক উত্তেজনা।

বিজেপি নেত্রী উমা আনন্দন আদালতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে বলেন, ঘটনার পর অনেক প্রশ্ন এখনো অনুত্তরিত রয়েছে এবং প্রশাসনের গাফিলতির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সেই আর্জি খারিজ করে দেয় এবং বলেন, মামলাটি মাদুরাই বেঞ্চের এখতিয়ারে পড়ে, সেক্ষেত্রে আবেদনকারীকে সেখানেই যেতে হবে।

একই মামলায়, টিভিটি-র জেলা সম্পাদক এন. সাতীশ কুমার-এর আগাম জামিনের আবেদনও খারিজ করে দেন বিচারপতি এন. সেথিলকুমার। আদালত প্রশ্ন তোলে, “দলের পক্ষ থেকে ভিড় নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা এবং সমর্থকদের অনিয়ন্ত্রিত আচরণ এই ঘটনায় মূলত দায়ী।

এই ঘটনার জেরে পুলিশ টিএভটি এর একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে মোট ৯টি এফআইআর দায়ের করেছে। জেলা সম্পাদক সহ একাধিক নেতা ও কর্মীর বিরুদ্ধে জনসাধারণের সম্পত্তি ধ্বংসের অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন** বিজেপি ও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এর ভূমিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন।

তিনি বলেন, তামিলনাড়ু তিনটি বড় দুর্যোগের সম্মুখীন হলেও, কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার বা অর্থমন্ত্রী রাজ্যে আসেননি, কোনও সাহায্যও পাঠানো হয়নি। অথচ করুরে এই একটি দুর্ঘটনার পর বিজেপি প্রতিনিধি দল এসে হাজির।”

স্টালিন আরও বলেন, মণিপুর দাঙ্গা, গুজরাটের ঘটনাবলী বা কুম্ভমেলায় মৃত্যুর ঘটনার সময় বিজেপি কোনও তদন্ত কমিটি পাঠায়নি। তাহলে করুরে হঠাৎ এত উৎসাহ কেন? এর পেছনে কোনও মানবিক দায়বদ্ধতা নয়, বরং আসন্ন নির্বাচনের রাজনীতি লুকিয়ে আছে।”

…..