নয়া দিল্লি, ২৭ সেপ্টেম্বর, : কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রক আগামী ২ অক্টোবর থেকে দেশজুড়ে “সবকি যোজনা, সবকা বিকাস” অভিযান শুরু করতে চলেছে। এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে পিপলস প্ল্যান ক্যাম্পেইন ২০২৫–২৬, যার উদ্দেশ্য ২০২৬–২৭ অর্থবর্ষের জন্য পঞ্চায়েত উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রস্তুত করা।
২০১৮ সালে সূচিত এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে দেশের পঞ্চায়েতগুলি স্থানীয় অগ্রাধিকার ও জাতীয় লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রমাণভিত্তিক, সমন্বিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরির সুযোগ পেয়েছে। ই-গ্রামস্বরাজ পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯–২০ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ১৮.১৩ লক্ষের বেশি পরিকল্পনা আপলোড হয়েছে, যার মধ্যে চলতি ২০২৫–২৬ বর্ষের জন্য ২.৫২ লক্ষের বেশি পরিকল্পনাও অন্তর্ভুক্ত।
২৬ সেপ্টেম্বর এক ভার্চুয়াল বৈঠকে অতিরিক্ত সচিব সুশীল কুমার লোহানি রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং রাজ্য গ্রামীণ উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেন। মন্ত্রক রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে, মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম সক্রিয় করা, নোডাল অফিসার নিয়োগ, প্রশিক্ষক নিয়োগ, গ্রামসভা সূচি চূড়ান্ত করা এবং সেপ্টেম্বর মাসের শেষের মধ্যে তথ্যবোর্ড স্থাপন নিশ্চিত করতে।
২ অক্টোবর বিশেষ গ্রামসভা-র মাধ্যমে ক্যাম্পেইনের সূচনা হবে। এই সভাগুলিতে আগের পরিকল্পনার ডিজিটাল পর্যালোচনা করা হবে ই-গ্রামস্বরাজ, মেরি পঞ্চায়েত অ্যাপ এবং পঞ্চায়েত নির্ণয় -এর মতো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে। এছাড়াও গ্রামগুলি কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশনের অনুদানে অসমাপ্ত কাজগুলিকে অগ্রাধিকার দেবে।
পরিকল্পনা প্রণয়নে পঞ্চায়েত অ্যাডভান্সমেন্ট ইনডেক্স-এর ভিত্তিতে কাজ হবে এবং সভাসারের মতো ডিজিটাল টুলের সাহায্য নেওয়া হবে। নিজেদের উৎস থেকে রাজস্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর দিকে জোর দেওয়া হবে। আদি কর্মযোগী অভিযান-এর মাধ্যমে আদিবাসী ক্ষমতায়নের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
মন্ত্রকের মতে, এই উদ্যোগ অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রকে আরও গভীরতর করবে, তৃণমূল স্তরের প্রতিষ্ঠানগুলিকে শক্তিশালী করবে এবং স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সংহতিকরণের মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় পরিষেবা সরবরাহ উন্নত করবে।

