ত্রিপুরা এবার অর্গানিক মাশরুম উৎপাদনে আত্মনির্ভর হবে: কৃষিমন্ত্রী

আগরতলা, ২৬ সেপ্টেম্বর : ত্রিপুরার কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর রাজ্যকে মাশরুম উৎপাদনে আত্মনির্ভর করতে উদ্যোগী হয়েছে এবং তা জৈব চাষের মাধ্যমে শুরু করা হবে। আজ নগিছড়ার উদ্যানপালন গবেষণা কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত প্রথম জৈব মাশরুম চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধনকালে একথা জানান কৃষিমন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি কর্মশালায় রাজ্যের ৫৩টি এফপিসি অংশ নেয়।

মন্ত্রী জানান, ২০১৮ সালের আগে রাজ্যে মাত্র ৪টি এফপিসি ছিল, বর্তমানে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩-এ। তিনি বলেন মাশরুম কেবল খাবার নয়, এটি একটি সুপারফুড—ভিটামিন ডি, আয়রনসহ বহু পুষ্টিগুণ এতে রয়েছে। বিহার, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, কর্ণাটক ও তামিলনাড়ুতে মাশরুম চাষ সর্বাধিক হয়। এটি এক নীরব বিপ্লব। দুধ, চাল, মাছ ও ডিমে আমরা আত্মনির্ভর হয়েছি, কিন্তু মাশরুমে এখনও পিছিয়ে আছি। এবার জৈব পদ্ধতিতে মাশরুম চাষ শুরু হবে। বর্তমানে রাজ্যে ২৬ হাজার হেক্টর জমিতে অর্গানিক ফসল ফলানো হচ্ছে, সেখানেই এফপিসির সহায়তায় মাশরুম চাষ যুক্ত করা হবে।

তিনি আরও বলেন, কৃষি এলাইড, পর্যটন , বন এবং বিদ্যুৎ —এই চারটি খাতের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। মন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দেন, একসময় ধারণা ছিল যে ত্রিপুরায় পেঁয়াজ চাষ সম্ভব নয়, কিন্তু কৃষকরা তা ভুল প্রমাণ করেছেন। গত বছর ভালো পরিমাণে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে।

তিনি বলেন, মাশরুম চাষ অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আনছে। ইতিমধ্যেই ৫৬ মেট্রিক টন চাল, ৫৭৯ মেট্রিক টন আদা, ৫৩ মেট্রিক টন হলুদ, ৬৮০ মেট্রিক টন আনারস ও ৪.৫ মেট্রিক টন বর্ডস আই মরিচ জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছে ত্রিপুরা থেকে । জৈব ফসলের চাহিদা বিপুল। আমরা জৈব ও অজৈব দুই ধরনের চাষই করছি, তবে মানুষের জন্য জৈব খাদ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এবার মাশরুম চাষ জৈব প্রক্রিয়ায় শুরু করা হবে।