আগরতলা, ২৬ সেপ্টেম্বর: ত্রিপুরা ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি সার্ভিস রাজ্যের বিভিন্ন সার্বজনীন দূর্গাপূজা কমিটি, ঘরোয়া পূজা কমিটি এবং আবাসন পূজা কমিটিগুলির জন্য কঠোর নির্দেশিকা জারি করেছে। এই নির্দেশাবলী পূজা উৎসবের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাধ্যতামূলক হিসেবে গ্রহণ করা হবে। মূল নির্দেশাবলী গুলি হল : লাইভ বৈদ্যুতিক লাইনের নিচে বা ট্রান্সফরমার ইনস্টলেশনের পাশে কোনো কাঠামো বা প্যান্ডেল নির্মাণ করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
প্যান্ডেল নির্মাণে সিন্থেটিক ও অন্যান্য দাহ্য পদার্থ ব্যবহার এড়াতে হবে। কাঠামোর জন্য টিউবুলার স্টিলের ফ্রেম, সাল কাঠ বা শক্তিশালী কাঠ ব্যবহার করতে হবে এবং যথাযথভাবে পেরেক ও অগ্নি প্রতিরোধক দড়ি বা ধাতব তার দিয়ে বেঁধে শক্তিশালী করতে হবে। প্যান্ডেলের ছাদের উচ্চতা ৪০ ফুটের বেশি এবং মাটির স্তর থেকে সর্বনিম্ন ১২ ফুট হতে হবে। সকল প্রস্থানের জায়গা সহজে খোলা রাখতে হবে। সমস্ত প্রস্থানপথে ইংরেজি ও স্থানীয় ভাষায় স্পষ্টভাবে “EXIT” লেখা থাকতে হবে, অক্ষরের উচ্চতা কমপক্ষে ৮ ইঞ্চি। প্রবেশ ও প্রস্থানের সঠিক দিক নির্দেশ করার জন্য নির্দেশক চিহ্ন প্রদর্শন করতে হবে।বৈদ্যুতিক তার ও ফিটিং অবশ্যই পলিভিনাইল আবরণযুক্ত ও স্পার্ক-প্রুফ হতে হবে, এবং জয়েন্ট প্রোসেলিন ইনসুলেটেড সংযোগকারী ব্যবহার করতে হবে।
বৈদ্যুতিক সার্কিট ও ডেকোরেটিভ কাপড় বা কাগজ ১২ ইঞ্চির মধ্যে থাকতে পারবে না। বৈদ্যুতিক লে-আউট একজন লাইসেন্সপ্রাপ্ত বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী বা ঠিকাদার দ্বারা করতে হবে। প্যান্ডেল নিকটবর্তী বিল্ডিং/বাসস্থান থেকে সর্বনিম্ন ৬ মিটার দূরত্বে থাকতে হবে। পাঁচটি জল ভর্তি বালতি ও পাঁচটি বালি ভর্তি বালতি প্যান্ডেলের সামনে ও পিছনে রাখতে হবে এবং প্রশিক্ষিত জনবল উপস্থিত রাখতে হবে। প্রধান বৈদ্যুতিক প্যানেল বোর্ডে CO₂ অগ্নি নির্বাপক (৪.৫ কেজি), CO₂ অগ্নি নির্বাপক (৪.৫ কেজি) ও ABC অগ্নি নির্বাপক (৬ কেজি) রাখতে হবে। প্রধান প্রবেশ/প্রস্থানের পথ কমপক্ষে ২ মিটার প্রশস্ত হতে হবে। জরুরি প্রস্থান পথ কমপক্ষে ১.৫ মিটার প্রশস্ত থাকতে হবে। জরুরি আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। দশণের পরে প্রতিদিন বৈদ্যুতিক সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। প্যান্ডেলের আশেপাশের রাস্তা ফায়ার ইঞ্জিন চলাচলের জন্য বাধামুক্ত রাখতে হবে।
ধূমপান নিষিদ্ধের নির্দেশ স্পষ্টভাবে বোর্ডে প্রদর্শন করতে হবে এবং পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমে ঘোষণা করতে হবে। আতশবাজি, খোলা শিখা, রান্না ও গরম করার কাজ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। একজন দায়িত্বরত ব্যক্তি সর্বদা প্যান্ডেলের কাছে উপস্থিত রাখতে হবে। জরুরি টেলিফোন নম্বর (ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্স) প্রদর্শন করতে হবে। যথেষ্ট সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে হবে। ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি সার্ভিসের অধিদপ্তরের নির্দেশে প্রয়োজনমতো অতিরিক্ত শর্ত আরোপ করা যেতে পারে। অস্থায়ী কাঠামো বা প্যান্ডেল ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শনের জন্য সর্বদা উন্মুক্ত রাখতে হবে। ত্রিপুরা ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি সার্ভিস স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, এই নির্দেশিকা অমান্য করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

