বিকশিত ভারত’র লক্ষ্যপূরণে ‘ওড়িশা ভিশন ২০৩৬ ও ২০৪৭’ উপস্থাপন করলেন উন্নয়ন কমিশনার অনু গার্গ

ভুবনেশ্বর, ২৬ সেপ্টেম্বর: ‘স্টেট সাপোর্ট মিশন’-এর দ্বিতীয় আঞ্চলিক সংলাপ উপলক্ষে পুনের ইয়াশাদা-তে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল আলোচনায় ওড়িশা সরকারের উন্নয়ন কমিশনার ও অতিরিক্ত মুখ্য সচিব অনু গার্গ বৃহস্পতিবার ‘ওড়িশা ভিশন ২০৩৬ ও ২০৪৭: বিকসিত ওড়িশা ফর বিকসিত ভারত’ বিষয়ক একটি বিশদ প্রেজেন্টেশন দেন।

এই সংলাপের আয়োজন করে নীতি আয়োগ এবং মহারাষ্ট্র ইনস্টিটিউট ফর ট্রান্সফরমেশন (মিত্রা)। আলোচনাটির থিম ছিল স্টেট ভিশন @2047: ভিক্সিত রাজ্যের জন্য ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করা। প্যানেল আলোচনায় অন্যান্য অংশগ্রহণকারী ছিলেন পার্থ সারথি রেড্ডি (প্রোগ্রাম ডিরেক্টর, নীতি আয়োগ), অনন্ত শঙ্কর (যুগ্ম সচিব, পরিকল্পনা, অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার), আশিষ গার্গ এবং ডঃ নীতু গোর্ডিয়া (যুগ্ম পরিচালক, রাজ্য নীতি আয়োগ, ছত্তিশগড়)।

গার্গ তাঁর উপস্থাপনায় ওড়িশাকে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির প্রধান চালক হিসেবে গড়ে তোলার রূপরেখা তুলে ধরেন। তিনি জানান, পুর্বোদয়’ (পূর্বোদয়)-এর গেটওয়ে** হয়ে উঠতে ওড়িশা বদ্ধপরিকর। এই ভিশন ডকুমেন্টটি নীতি আয়োগের সহায়তায় প্রস্তুত করা হয়েছে এবং এতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক রূপান্তরের লক্ষ্যে স্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

গার্গের উপস্থাপনায় উঠে আসে ‘৩৬ ফর ৩৬’ নামক একটি কৌশলগত পথনির্দেশ — যা ২০৩৬ ও ২০৪৭ সালের লক্ষ্যপূরণে সাহায্য করবে। এই রূপরেখার পাঁচটি মূল স্তম্ভ হলো: বেসরকারি বিনিয়োগ আহ্বান, সক্ষম পরিবেশ গঠন, সিদ্ধান্ত গ্রহণে গতি আনা, রূপায়ণ ক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তির একত্রীকরণ।

গার্গ বলেন, “আমাদের এই ভিশন একটি বিকসিত সমাজ গঠনের রূপরেখা, যা জাতীয় লক্ষ্য ‘বিকসিত ভারত’-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমরা এমন একটি ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছি যেখানে প্রতিটি ওড়িশাবাসী উন্নতির সুযোগ পাবে, সুস্থভাবে জীবন কাটাবে এবং সমন্বিত উন্নয়নের সুফল ভোগ করবে।”

এই আলোচনা সভা থেকে রাজ্যগুলির দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ তৈরি হয়েছে বলে মত বিশ্লেষকদের।