আগরতলা, ২০ সেপ্টেম্বর: এনডিপিএস মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামির বাড়ি ক্রোক করে ৫২ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিলো আদালত। সিপাহীজলা জেলার জেলাশাসককে এই বিষয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন।
ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে, এনডিপিএস মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামির বাড়ি ক্রোক করে ৫২ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিলো আদালত। আসামির নাম শম্ভু দাস তার পিতা মৃত হারাধন দাস। বাড়ি বিশালগড় থানাধীন চড়িলাম রাজিব কলোনি কালি টিলা এলাকায়। দুই মাস আগে জেলা শাসককে এই চিঠি দিয়েছে আদালত।জেলাশাসক আদালতের চিঠি পেয়ে বিষয়টি তদন্ত করাতে বিশালগড় মহকুমা শাসককে নির্দেশ দিয়েছেন। বিশালগড় মহকুমা শাসক শম্ভু দাসের বিষয়ে তদন্ত করাতে বিশালগড় ডেপুটি কালেক্টর এন্ড ম্যাজিস্ট্রেট প্রসেনজিত দাসকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
প্রসেনজিৎ দাস দায়িত্ব পেয়ে শনিবার দিন দুপুরে রাজীব কলোনি কালিটিলা এলাকায় শম্ভু দাসের বাড়িতে ছুটে আসেন। তিনি তার বাড়িতে এসে তার ছোট ভাই সমীর দাসের স্ত্রী দীপা সূত্রধরের সাথে কথা বলেন। কথা বলে তিনি জানতে পারেন শম্ভু দাসের সাত মাস আগেই ১০ বছরের সাজা হয়েছে। সে বর্তমানে জেলে রয়েছে। আমবাসা এলাকায় সে পুলিশের হাতে ধরা খেয়েছে নেশাদ্রব্য নিয়ে। তারপর তার বিরুদ্ধে এনডিপিএস এক্টে মামলা হয়েছে। মামলায় আদালত তার ১০ বছরের সাজা ঘোষণা করেছে।তার রয়েছে স্ত্রী বান্টি রানী দাস রয়েছে এক ছেলে এবং এক মেয়ে।স্বামীর সাজা ঘোষণার পর তার স্ত্রী এক ছেলেকে তার ছোট ভাইয়ের কাছে রেখে এক মেয়েকে নিয়ে বিশালগড় নেহাল চন্দ্রনগর বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছে। তারা বর্তমানে যে বাড়িতে রয়েছে সেই বাড়িটি রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকার। শম্ভু দাসের বাড়িতে এসে তার ভাঙ্গা ঘর এবং তার ছোট ভাইয়ের অর্থনৈতিক অবস্থা দেখে থ হয়ে যায় ডিসিএম প্রসেনজিৎ দাস।
তিনি তার বাড়িতে দাঁড়িয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পুরো ঘটনা তুলে ধরে বলেন, আমরা তার বাড়িঘর ক্রোক করতে পারবো না। কারণ তাদের বাড়ি রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকায়। যদি তার বাড়িটি রায়তি জোত হতো তাহলে আমরা তার বাড়ি বিক্রি করে বাহান্ন হাজার টাকা মিটিয়ে দিতে পারতাম। তিনি আরো জানান, এনডিপিএস মামলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সমাজে নেশা বন্ধ করতে এই মামলাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।এই মামলায় যে একবার ফেঁসে গিয়েছে তার রক্ষা নেই। শম্ভু দাসের সাজার মেয়াদ শেষ হলে তাকে এক লক্ষ টাকা আদালতে দিয়ে তারপর তাকে ছাড়িয়ে আনতে হবে।ডিসিএম আরো জানিয়েছেন, গতকাল ও তারা এমন একটি মামলায় বিশালগড় ঘনিয়ামাড়া এলাকার বাবুল দাস থেকে ৫০ হাজার টাকা আদায় করেছেন এবং আদালতে জমা দিয়েছেন। ডিসিএম প্রসেনজিৎ দাস শম্ভু দাসের পুরো বিষয়টি তদন্ত করে গিয়েছেন এবং তিনি রিপোর্ট জেলাশাসক এবং মহকুমা শাসকের কাছে জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন।

