জম্পুইজলা, ১৯ সেপ্টেম্বর:
জম্পুইজলা ব্লকের উদ্যোগে এবং সিপাহীজলা জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সম্প্রতি জম্পুইজলা ব্লকের অন্তর্গত প্রমোদনগর দ্বাদশমান বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আদি কর্মযোগী অভিযানের উদ্বোধন করেন জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের সচিব ড. কে শশী কুমার। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিপাহীজলা জেলার জেলাশাসক ও সমাহর্তা ডা. সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল, জম্পুইজলা মহকুমার মহকুমা শাসক চিরঞ্জীব আনন, জম্পুইজলা ব্লকের অতিরিক্ত বিডিও বীরবাহাদুর রিয়াং প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিপাহীজলা জেলার সিনিয়র ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জিত দেববর্মা। সভাপতিত্ব করেন জম্পুইজলা বিএসি’র ভাইস চেয়ারম্যান নিরঞ্জন কলই।
অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা গ্রামীণ জীবিকা মিশনের পক্ষ থেকে ২টি স্বসহায়ক দলকে স্বনির্ভর করার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এরমধ্যে ফুথার স্বসহায়ক দলকে ২০ লক্ষ টাকা এবং আগাপি স্বসহায়ক দলকে ১৩ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করা হয়। কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের পক্ষ থেকে ১ জন কৃষককে কৃষি কাজের জন্য এটিএমএ প্রকল্পে ৬ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়। স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে ৩ জনকে আয়ুষ্মান কার্ড প্রদান করা হয়। মৎস্য দপ্তরের পক্ষ থেকে ১ জন মৎস্যচাষীকে মৎস্য সহায়ক যোজনায় ৬ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়। সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে ৩ জনকে সামাজিক ভাতার মঞ্জুরিপত্র প্রদান করা হয় এবং ৩ জন দিব্যাঙ্গজনের মধ্যে হুইলচেয়ার বিতরণ করা হয়। জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের পক্ষ থেকে ৩ জনের মধ্যে এসটি সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়। অতিথিগণ সুবিধাভোগীদের হাতে সার্টিফিকেট, চেক ও হুইলচেয়ার তুলে দেন।
এছাড়া এই অনুষ্ঠানের অঙ্গ হিসেবে স্কুল প্রাঙ্গণে একদিনের প্রশাসনিক ও স্বাস্থ্য শিবির অনুষ্ঠিত হয়। শিবিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৬ জনকে ইনকাম সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এছাড়া ৩টি এসটি এবং ১৫টি পিআরটিসি সার্টিফিকেটের জন্য আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয়। বন দপ্তরের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ফল গাছের ৫০টি চারা গাছ বিতরণ করা হয়। শিবিরে ৫টি আধার কার্ড আপডেট করা হয়। কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের পক্ষ থেকে ১৫০টি বেগুন, মরিচ, টমেটো প্রভৃতি জাতের চারা গাছ বিতরণ করা হয়। এছাড়া ৫ জনের মধ্যে পিএম-কিষাণ ফর্ম এবং ২ জনের মধ্যে কেসিসি ফর্ম বিতরণ করা হয়। স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে ৫০ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বিনামূল্যে ওষুধ প্রদান করা হয়।

