নীল অর্থনীতি ভারতের অগ্রগতির কেন্দ্রবিন্দু: প্রধানমন্ত্রী মোদী

নয়াদিল্লি, ১৯ সেপ্টেম্বর: ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হয়ে উঠছে “নীল অর্থনীতি”, যা সমৃদ্ধি, টেকসইতা এবং জাতীয় শক্তির সমন্বয় ঘটায়। আজ জোর গলায় একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

প্রধানমন্ত্রী এক্স (এক্স)-এ একটি পোস্টে বলেন, সাগরমালা, দীপ সাগর মিশন এবং হরিত সাগর নির্দেশিকা-র মতো উদ্যোগগুলি সমুদ্রসম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে উপকূলবর্তী জনগোষ্ঠীকে ক্ষমতায়ন করছে, উদ্ভাবন বাড়াচ্ছে এবং ভারতকে বৈশ্বিক সামুদ্রিক নেতৃত্বে এগিয়ে নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এই প্রতিক্রিয়া জানান কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং-এর এক প্রবন্ধের ভিত্তিতে, যেখানে ভারতের সমুদ্রসীমা এবং ব্লু ইকোনমি-ভিত্তিক সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

প্রবন্ধে বলা হয়েছে, ভারতের বর্তমান উপকূলরেখা দাঁড়িয়েছে ১,০৯৮ কিমি এবং এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন বিস্তৃত হয়েছে ২৪ লক্ষ বর্গকিমি জুড়ে। এই বিশাল সামুদ্রিক ক্ষমতা ভারতকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের ব্লু ইকোনমি গড়ে তোলার অপূর্ব সুযোগ এনে দিয়েছে — যা কর্মসংস্থান সৃষ্টি, উপকূলবাসীদের সহায়তা, সামুদ্রিক পরিবেশ রক্ষা এবং বৈশ্বিক সামুদ্রিক উপস্থিতি জোরদারে সহায়ক।

ভারত এখন নীল অর্থনীতির ২.০ যুগে প্রবেশ করেছে, যেখানে শুধু ঐতিহ্যগত ক্ষেত্র যেমন মৎস্য চাষ বা বন্দর ব্যবসার উন্নয়নই নয়, বরং উদীয়মান ও উচ্চ সম্ভাবনাময় খাতগুলিকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং-এর মতে, নীল অর্থনীতি ২.০ শুধু সমুদ্রসম্পদের সদ্ব্যবহার নয়, বরং তা ভবিষ্যতের প্রযুক্তি, পরিবেশ রক্ষা এবং সামাজিক অন্তর্ভুক্তির দিকেও মনোনিবেশ করছে। এই উদ্যোগগুলোর মাধ্যমে শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নই নয়,নারী ক্ষমতায়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণেও দৃশ্যমান প্রভাব পড়ছে। প্রকল্পগুলিতে সমুদ্র শৈবাল চাষ ও ইকো-ট্যুরিজমের মতো টেকসই খাতে মহিলাদের অংশগ্রহণ উৎসাহিত করা হচ্ছে, যা তাদের জন্য নতুন আয়ের উৎস ও সামাজিক মর্যাদা তৈরি করছে।