ভারতীয় আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস: উত্তরাখণ্ড, সিকিম ও সাব-হিমালয়ান পশ্চিমবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা, দিল্লিতে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস

নয়াদিল্লি, ১৮ সেপ্টেম্বর: ভারতীয় আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, আগামী বুধবার উত্তরাখণ্ড, সাব-হিমালয়ান পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিমে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জেও আগামী দু’দিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর অসম ও মেঘালয়েও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পূর্ব মধ্যপ্রদেশ, সাব-হিমালয়ান পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, মেঘালয়, তেলেঙ্গানা এবং রায়ালসীমার কিছু বিচ্ছিন্ন স্থানে অতি ভারী বৃষ্টিপাত (১২-২০ সেমি) রেকর্ড করা হয়েছে। অন্যদিকে, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিম মধ্যপ্রদেশ, অসম, ওড়িশা, গুজরাট অঞ্চল, কোকন, মধ্য মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং তামিলনাড়ুর বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টিপাত (৭–১১ সেমি) হয়েছে।

রাজধানী দিল্লি এবং আশেপাশের এলাকা আগামী দুই দিন আংশিক মেঘাচ্ছন্ন থাকবে বলে জানিয়েছে আইএমডি। বুধবার ও বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দিল্লিতে দুপুর ও সন্ধ্যার দিকে এক থেকে দুই দফা হালকা থেকে খুব হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকার কথা, যা প্রায় স্বাভাবিকের কাছাকাছি। দুপুরের দিকে দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিমি বেগে বাতাস বইবে, যা সন্ধ্যার দিকে কমে যাবে।

১৯ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) দিল্লিতে একই ধরনের আবহাওয়া বজায় থাকবে। কিছু কিছু স্থানে এক বা দুইবার হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেদিন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩-৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩-২৫ ডিগ্রির মধ্যে থাকতে পারে। সকাল থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে বাতাস বইবে, যা দুপুর নাগাদ উত্তর-পশ্চিম দিকে ঘুরে যাবে এবং রাতের দিকে উত্তর-পূর্ব দিকে পরিবর্তিত হবে।

২০ ও ২১ সেপ্টেম্বর আবহাওয়া তুলনামূলকভাবে শুকনো থাকবে বলে অনুমান। আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে প্রধানত পরিষ্কার থাকবে। তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে ৩৪-৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পারে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১-২ ডিগ্রি বেশি। এই সময়ে বাতাস প্রধানত উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১৮-২৫ কিমি বেগে বইবে, যা সন্ধ্যা ও রাতে ধীরে হবে।

আবহাওয়াবিদদের মতে, চলতি সপ্তাহে দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে একাধিক অঞ্চলে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। মৌসুমি বায়ু এখনও সক্রিয় রয়েছে এবং এটি বর্ষার শেষ পর্বে ভারী বৃষ্টির পরিবেশ তৈরি করতে পারে। কৃষকদের জন্যও এই তথ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যাঁরা খরিফ ফসলের ওপর নির্ভর করেন।

পাহাড়ি অঞ্চলে হঠাৎ বৃষ্টিতে ভূমিধস বা নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকায় পর্যটকদের এবং স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।