বেকার যুবকদের জন্য বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের, প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা ভাতা

পাটনা, ১৮ সেপ্টেম্বর : বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বৃহস্পতিবার এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে ঘোষণা করেছেন যে, রাজ্যের প্রতিটি বেকার স্নাতক যুবক-যুবতীকে প্রতি মাসে ১,০০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্তকে তরুণ ও প্রথমবারের ভোটারদের প্রতি বড়সড় বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সমাজমাধ্যম এক্স -এ একটি পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২০০৫ সাল থেকে বিহার সরকার কর্মসংস্থান ও চাকরি সৃষ্টি নিয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে আসছে। তিনি বলেন, আগামী পাঁচ বছরে এক কোটি যুবক-যুবতীকে সরকারী ও বেসরকারি খাতে চাকরি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ‘মুখ্যমন্ত্রী স্ব-সহায়তা ভাতা প্রকল্প’-এর আওতায় এখন থেকে স্নাতক পাস বেকার তরুণ-তরুণীরাও এই ভাতা পাবেন। আগে এই প্রকল্পের সুবিধা কেবলমাত্র ইন্টারমিডিয়েট (উচ্চমাধ্যমিক) উত্তীর্ণদের জন্যই সীমিত ছিল।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সী এমন স্নাতক যুবক-যুবতীরা যারা বর্তমানে পড়াশোনা করছেন না, কোনও চাকরিতে নিযুক্ত নন কিংবা স্বনিযুক্তও নন, তারা প্রতি মাসে ১,০০০ টাকা করে ভাতা পাবেন। এই সুবিধা সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত মিলবে।

নীতীশ কুমার আশাপ্রকাশ করে বলেন, এই আর্থিক সহায়তা যুবসমাজকে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ নিতে ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, “এই দূরদর্শী উদ্যোগের মাধ্যমে রাজ্যের শিক্ষিত যুবসমাজ স্বনির্ভর ও দক্ষ হয়ে উঠবে এবং তারা রাজ্য ও দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”

এর আগে বুধবার, মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার রাজ্যজুড়ে ১৬.০৪ লাখ নির্মাণ শ্রমিকের অ্যাকাউন্টে প্রত্যেককে ৫,০০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। বিশ্বকর্মা পূজা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিন উপলক্ষে এই সহায়তা দেওয়া হয়।

‘বার্ষিক পোশাক সহায়তা প্রকল্প’-এর আওতায় বিহার সরকার নির্মাণ শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে মোট ৮০২.৪৬ কোটি টাকা হস্তান্তর করেছে। রাজধানী পাটনায় এক অনুষ্ঠানে উপ-মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী ও বিজয় কুমার সিনহার উপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী ‘প্রতিজ্ঞা’ নামে একটি নতুন ওয়েব পোর্টাল-এরও উদ্বোধন করেন, যা রাজ্যের চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য চালু করা হয়েছে।

এই ঘোষণাগুলিকে আগামী নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে মুখ্যমন্ত্রীর যুবকেন্দ্রিক বার্তা ও আর্থিক সহায়তার কৌশল হিসেবে বিশ্লেষণ করছেন রাজনৈতিক মহল।