বাংলাদেশ থেকে ১ মেট্রিকটন ইলিশ এসেছে রাজ্যে

আগরতলা, ১৮ সেপ্টেম্বর: বাঙালির প্রধান উৎসব দূর্গোৎসবকে ঘিরে উন্মাদনা রীতিমতো চড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে বাঙালির রসনা তৃপ্তির জন্য অবশেষে ত্রিপুরার বাজারে চলে এসেছে পদ্মার ইলিশ। মূলত, উৎসবে ভোজন রসিক বাঙালির পাতে ইলিশ ছাড়া চলে না। আর তা যদি হয় পদ্মার ইলিশ তাহলে অনুভূতি প্রকাশ করার ভাষা খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আজ বাংলাদেশ থেকে ১ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রাজ্যে এসেছে।

এ বিষয়ে আমদানিকারক বিমল রায় জানিয়েছেন, ত্রিপুরায় বাংলাদেশ থেকে কত টন ইলিশ মাছ আমদানির অনুমতি মিলেছে তা এখনো পর্যন্ত জানা যায় নি। তবে, আজ বৃহস্পতিবার প্রথম দিনে মাত্র ১ মেট্রিক টন মাছ এসেছে রাজ্যে। সম্ভবত আগামীকালও ১ টন ইলিশ মাছ রাজ্যে আসবে। তাঁর অনুমান, দূর্গোৎসবের আগে এভাবে মোট ১৫ থেকে ২০ টন মাছ ত্রিপুরায় আমদানি করা হবে। তাছাড়া, কিছুদিনের মধ্যেই বাংলাদেশ সরকার ইলিশের রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করবে। মূলত, ইলিশের সর্বোচ্চ প্রজননকালীন সময়ে নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে ওই সময়ে ওই স্বর্ণালী মাছ ধরা, বিক্রয় ও পরিবহন নিষিদ্ধ থাকবে। তাই ত্রিপুরায় মৎস্য প্রেমীদের পাতে ইলিশ মাছ কি পরিমাণে পড়বে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি আরও জানিয়েছেন, দুর্গাপূজার সময় আপামর বাঙালি ইলিশ মাছ ছাড়া আনন্দ উপভোগ করতে পারেন না। ফলে এই সময়ে ইলিশের চাহিদাও বেশী থাকে। তাঁর দাবি, গতবারের তুলনায় এবার পদ্মার ইলিশ আকৃতিতে(আনুমানিক ৫০০ বা ৬০০ গ্রাম) ছোট এসেছে এবং দূর্গোৎসবের মুহুর্তে বাজারেও বেশি দামেই বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত বাংলাদেশের জাতীয় রফতানি নীতি (২০১৫-১৮) অনুসারে, শর্তসাপেক্ষে রফতানি পণ্যের তালিকায় রয়েছে ইলিশ। তবে বিদেশে ইলিশ রফতানির প্রথম অনুমতি দেওয়া হয় ২০১৯ সালে। তখন থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পুজোর সময়ে ভারতে ইলিশ পাঠানো হত। শেখ হাসিনার সরকার ইলিশ রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও দুর্গাপুজোর সময়ে ভারতে ইলিশ রফতানি হয়ে আসছে গত বেশ কয়েক বছর ধরে। গত বছরের পুজোর মরসুমে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রক প্রথমে প্রায় ৩,০০০ টন ইলিশ ভারতে রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু পরে তা কমিয়ে ২,৪২০ টন ইলিশ ভারতে পাঠানোর অনুমতি দেয় মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। এ বার তা আরও কমিয়ে ১,২০০ টন রফতানির অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। প্রতি কেজি ইলিশ ন্যূনতম সাড়ে ১২ ডলারে (ভারতীয় মুদ্রায় ১০৫৭ টাকা) রফতানি করা যাবে বলে জানানো হয়।