নয়াদিল্লি, ১৫ সেপ্টেম্বর : বিহারে চলমান ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন (স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন-এসআইআর) প্রক্রিয়া নিয়ে বড় মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, যদি নির্বাচন কমিশনের গৃহিত পদ্ধতিতে কোনো অসাংবিধানিকতা বা অবৈধতা প্রমাণিত হয়, তাহলে পুরো এসআইআর প্রক্রিয়া বাতিল করে দেওয়া হবে।
বিচারপতি সূর্যকান্ত ও জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছে, তাঁরা বিহারের এসআইআর নিয়ে খণ্ড খণ্ড মতামত দিতে রাজি নয়। এই মামলায় চূড়ান্ত রায় কেবল বিহারের জন্য নয়, সমগ্র ভারতের এসআইআর প্রক্রিয়ার ওপর প্রযোজ্য হবে।
শুনানিতে আদালত জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক সংস্থা হওয়ায় তারা ধরে নিচ্ছেন সংস্থাটি আইন ও বিধিনিষেধ মেনেই এসআইআর পরিচালনা করছে। তবে, যদি এর ব্যত্যয় ঘটে, তবে আদালত হস্তক্ষেপ করবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে। এসআইআর-এর বৈধতা নিয়ে চূড়ান্ত শুনানি ৭ অক্টোবর ধার্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, বিহারের ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য আধার হতে হবে দ্বাদশ বৈধ পরিচয়পত্র। অভিযোগ উঠেছিল, এসআইআর চলাকালীন অনেক নির্বাচন অফিসার আগের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও আধার গ্রহণ করছিলেন না। আদালত বলেছে, যদিও আধার নাগরিকত্ব প্রমাণ করে না, তবুও এটি পরিচয় ও বসবাসের একটি গ্রহণযোগ্য দলিল। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের আপত্তি আদালত খারিজ করে দেয়।
বিরোধী দলগুলির অভিযোগ থেকে এসআইআর নিয়ে এই মামলার সূত্রপাত হয়েছিল। তারা দাবি করে, ভোটার যাচাইয়ের নামে বহু প্রকৃত ভোটারের নাম মুছে ফেলা হচ্ছে, তাও সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই। উল্লেখযোগ্যভাবে, ১৮ আগস্ট নির্বাচন কমিশন জানায়, এসআইআর প্রক্রিয়ার খসড়া ভোটার তালিকা থেকে ৬৫ লাখ ভোটারের নাম মুছে ফেলা হয়েছে। বিরোধীদের মতে, ১১টি নির্ধারিত পরিচয়পত্রের মধ্যে সাধারণ নাগরিকদের সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত আধার কার্ড না থাকা, পুরো প্রক্রিয়াকেই পক্ষপাতদুষ্ট করে তুলেছে।

