নয়াদিল্লি, ৮ সেপ্টেম্বর : আজ রাজস্থান ও গুজরাটে বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর । আগামী ২-৩ দিন মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, সাব-হিমালয়ান পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, কারাইকাল এবং উত্তরাখণ্ডেও ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
জম্মু, হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব এবং মধ্য মহারাষ্ট্রে আগামী ৩-৪ দিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, কর্ণাটক, ঝাড়খণ্ড, কেরল ও মাহে এবং তেলেঙ্গানায় কালবৈশাখী ঝড়, বিদ্যুৎ চমকানো ও দমকা হাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে আগামীকাল পর্যন্ত।
আজ দিল্লি-এনসিআর-এও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
দিল্লিতে ইয়ামুনা নদীর জলস্তর বিপদসীমার নিচে নেমে এসেছে। আজ সকালে নদীর জলস্তর ২০৫.২২ মিটার হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। শহরের জন্য বিপদসীমা নির্ধারিত হয়েছে ২০৫.৩৩ মিটার, এবং ২০৬ মিটার অতিক্রম করলেই শুরু হয় বাধ্যতামূলক সরিয়ে নেওয়া। পুরনো রেল সেতুতে জলপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে নিয়মিত।
নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারী বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে এবং ত্রাণ শিবিরে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বন্যায় বিপর্যস্ত পাঞ্জাব পরিদর্শনে আগামীকাল যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাঞ্জাব বিজেপি সভাপতি সুনীল জাখর সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, তাই সরেজমিনে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে আসছেন।
রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। সেনাবাহিনী, বিএসএফ ও এনডিআরএফের সহযোগিতায় উদ্ধার ও ত্রাণকাজ চলছে পুরোদমে। যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রকের প্রায় ২০০০ ‘মাই ভারত আপদা মিত্র’ স্বেচ্ছাসেবীও বন্যাক্রান্ত এলাকায় সহযোগিতা করছেন।
প্রায় ২০০০ গ্রামের ৩.৮৭ লক্ষেরও বেশি মানুষ বন্যার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজ্য সরকার মঙ্গলবার থেকে জেলার অবস্থান অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি ধাপে ধাপে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আবহাওয়া ও বন্যা পরিস্থিতির উপর সকলকে সতর্ক নজর রাখতে অনুরোধ করা হচ্ছে। প্রশাসনের নির্দেশিকা মেনে চলাই সকলের স্বার্থে জরুরি।
