নয়াদিল্লি, ০৫ সেপ্টেম্বর : বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ৩-০ গোলে জয়ের ম্যাচটিই সম্ভবত লিওনেল মেসির শেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ ছিল আর্জেন্টিনার মাটিতে। বুয়েনস আইরেসের এস্তাদিও মনুমেন্টালে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে দুই গোল করে নিজের দেশীয় ভক্তদের সামনে এক স্মরণীয় বিদায় জানান তিনি। ম্যাচ শেষে আবেগাপ্লুত মেসি স্বীকার করে নেন, ২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
ম্যাচের পর তিনি বলেন,“দেখা যাক কী হয়। অনেক অনুভূতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এই মাঠে অনেক কিছুই অভিজ্ঞতা হয়েছে। আর্জেন্টিনায় নিজের দেশের মানুষের সামনে খেলা সবসময়ই আনন্দের। আজ যেভাবে শেষ করলাম, এটাই সবসময় স্বপ্ন ছিল।”
“অনেক বছর বার্সেলোনায় ভালোবাসা পেয়েছি, সেই ভালোবাসা নিজের দেশেও পাওয়াটা ছিল আমার আরেকটি স্বপ্ন। অনেক কথা হয়েছে আমার সম্পর্কে, কিন্তু আমি ভালো দিকটাই মনে রাখবো। আজকের ম্যাচটাই ছিল নিজের দেশে পয়েন্টের জন্য শেষ ম্যাচ।”
আর্জেন্টিনার হয়ে এখন পর্যন্ত ১৯৩টি ম্যাচ খেলেছেন মেসি, যেখানে তার গোলসংখ্যা ১১২টি। ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পাশাপাশি দুটি কোপা আমেরিকা ট্রফিও জিতেছেন এই কিংবদন্তি।
৩৮ বছর বয়সী এই তারকা বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা নিয়ে বলেন,
“আমি আগেও বলেছি, আরেকটা বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা খুবই কম। আমার বয়সের কথা বিবেচনা করলে, সবচেয়ে যৌক্তিক কথা হলো, আমি হয়তো ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলতে পারবো না। তবে এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি। দিন গুনছি, দেখে নিচ্ছি শরীর কেমন থাকে।”*
তিনি আরও বলেন,“যদি ভালো লাগে, শরীর ঠিক থাকে — তাহলে খেলাটা উপভোগ করি। কিন্তু যদি শরীর সাড়া না দেয়, তখন আর ভালো লাগে না, তাই নিজেকে সৎ রাখাই ভালো। তখন না খেলার সিদ্ধান্তই নেবো। এই এমএলএস সিজনটা ভালোভাবে শেষ করতে চাই, এরপর ২০২৬ সালের প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি ভালোভাবে নিতে পারলে তখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবো।”*
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে খেলছেন লিওনেল মেসি। বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ভক্তের আশা থাকলেও, তার নিজের কথাতেই বুঝিয়ে দিলেন — বয়স আর শারীরিক অবস্থাই ২০২৬ বিশ্বকাপে তার অংশগ্রহণের সবচেয়ে বড় বাধা। এখন শুধু সময়ই বলে দেবে, কিংবদন্তি আরেকটি বিশ্বকাপ খেলবেন কি না।

