বারাণসী, ৪ সেপ্টেম্বর: আইআইটি-বিএইচইউ-র মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের এমটেক ছাত্র, অনুপ সিং চৌহান (৩১), হোস্টেল কক্ষে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যান পরীক্ষার কয়েক ঘণ্টা আগে। তাঁকে তৎক্ষণাৎ ক্যাম্পাস হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, মৃত্যুর কারণ হৃদরোগে আক্রমণ (কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট) বলে জানা গেছে।
অনুপ, উত্তরপ্রদেশের আজমগড় জেলার বাসিন্দা, মাত্র দুই মাস আগে আইআইটি-বিএইচইউ-তে ভর্তি হয়েছিলেন। বুধবার সকাল ৮টায় তাঁর পরীক্ষা ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে তিনি ও তাঁর দুই রুমমেট রাত ৩টা পর্যন্ত পড়াশোনা করেন।
বুধবার সকালে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে, সকাল ৬টায় বন্ধুরা তাঁকে ডাকতে গিয়ে দেখতে পান তিনি সাড়া দিচ্ছেন না। তখনও শরীর গরম ছিল, তাই বন্ধুরা সিপিআর দেওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এরপর কলেজ প্রশাসনকে জানানো হলে, অনুপকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে রাত ১১.৩০ টায় অনুপ তাঁর ছোট ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তিনি কোনওরকম শারীরিক সমস্যা সম্পর্কে কিছু জানাননি।
অনুপের বাবা, বিনোদ সিং, আজমগড়ের একজন আইনজীবী, বলেন যে ছেলের মৃত্যুর খবর তাঁকে পরীক্ষা শুরুর ঠিক আগে জানানো হয়। তিনি কোনও অভিযোগ তোলেননি।
পোস্টমর্টেমের পর পুলিশ মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেয়।
এই ঘটনার পর, আবারও সামনে এল দেশের যুবসমাজে হঠাৎ হৃদরোগে মৃত্যুর প্রবণতা। সম্প্রতি এমন একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে, যা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও প্রশাসনের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিষয়টি নিয়ে গভীর গবেষণার দাবি উঠছে।

