চেন্নাই, ৩ সেপ্টেম্বর: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন ডিএমকে-র উপসাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ এ রাজা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা পিটার নাভারোর একটি সাক্ষাৎকারকে উদ্ধৃত করে এ রাজা অভিযোগ করেন, “মোদি ও যুদ্ধ” এবং “ব্রাহ্মণ শোষণ” শব্দবন্ধ ব্যবহার করে নাভারো ভারতের বর্তমান অবস্থা এবং আমেরিকার ৫০ শতাংশ আমদানি শুল্কের ন্যায্যতা তুলে ধরেছেন।
এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ রাজা বলেন, “পিটার নাভারো আমেরিকার একটি চ্যানেলে বলেছেন, ‘মোদি ইউক্রেনে যুদ্ধ করছেন’ এবং ‘ভারতে ব্রাহ্মণরা মাটিকে শোষণ করছে’। এই বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার, মোদীর নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টি দেশের অভ্যন্তরীণ বৈষম্য ও আন্তর্জাতিক অস্থিরতা বাড়াচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “২০১৪ সালে মোদী যখন প্রধানমন্ত্রী হন, তখন ক্রুড অয়েলের দাম ছিল ১০৮ ডলার প্রতি ব্যারেল, আর পেট্রোল-ডিজেলের দাম ছিল ৭০ টাকা। কিন্তু ২০২৩-২৪ সালে যখন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম নেমে আসে ৮০ ডলারে, তখনও জ্বালানির দাম ১০০ টাকার গণ্ডি পেরিয়ে যায়। কেন এই বৈষম্য?”
এ রাজা সংসদে আগেই মোদী-অমিত শাহের বিরুদ্ধে দেশের সম্পদ বেচে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। সেই মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে তিনি বলেন, “আমি বলেছিলাম, দু’জন দেশ বিক্রি করছে, আর দু’জন কিনছে। মোদী ও অমিত শাহ বিক্রি করছেন, আর আম্বানি ও আদানি কিনছেন। আজকের ৫০% ট্যারিফ তারই প্রমাণ।”
এই ৫০ শতাংশ ট্যারিফের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার তিরুপুরে ডিএমকে ও তাদের জোটসঙ্গীরা বিশাল প্রতিবাদ মিছিল করেন। অনেক কর্মী আধা-মোদি ও আধা-ট্রাম্প মুখোশ পরে অংশ নেন। প্ল্যাকার্ডে হিন্দিতে মোদী-ট্রাম্প বিরোধী স্লোগান লেখা ছিল।
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, “আপনি ট্রাম্পকে সমর্থন করেছেন। আজ তাঁর নীতির ফলে ডলার সিটি তিরুপুর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল গুজরাটের রিফাইনারিগুলিকে সস্তায় দিতে গিয়ে আপনি তিরুপুরের রফতানিকারকদের বঞ্চিত করছেন। এতে লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থান হুমকির মুখে পড়েছে।”
স্টালিন সোশ্যাল মিডিয়া X-এ লেখেন, “তিরুপুরে ধর্মনিরপেক্ষ প্রগতিশীল জোটের প্রতিবাদ কর্মসূচি ছিল ব্যাপক সফল। অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।”

