নয়াদিল্লি, ২ সেপ্টেম্বর: পাঞ্জাবে সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টির ফলে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে রাজ্যের মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এল আম আদমি পার্টি (আপ)। দলটির সর্বভারতীয় আহ্বায়ক ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় ঘোষণা করেন, আপের সকল সাংসদ ও বিধায়ক এক মাসের বেতন পাঞ্জাব মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করবেন।
কেজরিওয়াল এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ পোস্ট করা ভিডিও বার্তায় বলেন, “দেশ যখনই বিপদের মুখে পড়েছে, পাঞ্জাব সবসময় দৃঢ়তার সঙ্গে পাশে দাঁড়িয়েছে। আজ পাঞ্জাব নিজেই সংকটে। আমি দেশের সমস্ত মানুষ, রাজনৈতিক দল এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করছি—এই কঠিন সময়ে পাঞ্জাবের পাশে দাঁড়ান।”
তিনি জানান, পাঞ্জাবে প্রবল বর্ষণ ও হিমাচল প্রদেশ ও জম্মু-কাশ্মীরের উজান এলাকার ভারী বৃষ্টির ফলে শতদ্রু, বেয়াস এবং রবি নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর জেরে পাঞ্জাবের একাধিক জেলায় গ্রামাঞ্চল জলের তলায় চলে গেছে।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে: পাঠানকোট, গুরদাসপুর, ফাজিলকা, কপুরথলা, তরণতারণ, ফিরোজপুর, হোশিয়ারপুর এবং অমৃতসর। এসব এলাকায় ইতিমধ্যে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী , সেনাবাহিনী, বিএসএফ, পাঞ্জাব পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে উদ্ধার ও ত্রাণ কাজ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার ফের নতুন করে বৃষ্টিপাত হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৮:৩০ পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় অমৃতসরে ১৮.৩ মিমি, পাতিয়ালায় ৭০.৫ মিমি, বাঠিন্ডায় ৫ মিমি, ফরিদকোটে ১ মিমি, গুরদাসপুরে ৩২.৮ মিমি, মানসায় ১০ মিমি এবং মোহালিতে ৪৪.৫ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। চণ্ডীগড়ে একই সময়ে ৪০.৮ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।
পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষিতে সোমবার পাঞ্জাব সরকার রাজ্যের সমস্ত কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট আগামী ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
কেজরিওয়াল বলেন, “এটা ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার সময়। আসুন, আমরা সকলে একত্র হয়ে পাঞ্জাবকে এই দুর্যোগ থেকে উদ্ধার করতে সাহায্য করি।”

