আগরতলা, ১ সেপ্টেম্বর : ২০১৪ সালে বিজেপি সরকার কেন্দ্রীয় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সরকারি সংস্থাগুলিকে বেসরকারিকরণের পথে ঠেলে দেওয়া এবং আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়াকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তৎকালীন সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, এই ব্যবস্থার মাধ্যমে একজন সরকারি কর্মীর বেতনে তিনজন আউটসোর্সিং কর্মী নিয়োগ করা সম্ভব হবে, ফলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে দেশের মানুষ উপলব্ধি করছেন, এই নীতি মূলত বড় বড় বেসরকারি সংস্থার মুনাফা বাড়ানোর পথকেই সুগম করেছে। এরই স্পষ্ট উদাহরণ দেখা গেল গতকাল, রবিবার, আগরতলা বিমানবন্দরে। আগাম কোনো নোটিশ বা সতর্কতা ছাড়াই বিমানবন্দরের ২৭ জন সাফাই কর্মচারীকে হঠাৎ করেই চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
কর্মচারীদের অভিযোগ, দুর্গাপূজোর প্রাক্কালে এভাবে চাকরি হারানোয় তাঁদের পরিবার চরম সঙ্কটে পড়েছে। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না করেই কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় তাঁরা অসহায় পরিস্থিতির মুখোমুখি।এদিন ক্ষুব্ধ কর্মচারীরা এয়ারপোর্ট অথরিটির সঙ্গে কথা বলতে গেলে, কর্তৃপক্ষ তাঁদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনায় বসতে অস্বীকার করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান প্রাক্তন বিধায়ক দিলীপ দাস। তিনি এয়ারপোর্ট ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ নেন।
পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ দাস জানান, প্রথমে এই সাফাই কাজের দায়িত্বে ছিল এনআইএইচ কোম্পানি। কিন্তু নতুন টেন্ডারে দায়িত্ব পেয়েছে নিম্বাস কোম্পানি। নতুন সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এত সংখ্যক কর্মীর প্রয়োজন নেই, তাই কম সংখ্যক লোক দিয়ে কাজ চালানো হবে।দিলীপ দাস আরও বলেন, “আমি এয়ারপোর্ট ম্যানেজারের কাছে অনুরোধ করেছি, অন্ততপক্ষে আসন্ন দুর্গাপূজোর সময় পর্যন্ত এই কর্মচারীদের কাজে রাখার সুযোগ দেওয়া হোক।

