অমিত শাহকে ঘিরে মহুয়া মৈত্রর বিতর্কিত মন্তব্য, ছত্তিশগড়ে এফআইআর দায়ের

রায়পুর, ৩১ আগস্ট : তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে ছত্তিশগড়ের রায়পুরে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন তিনি, যা সামাজিক উত্তেজনা ছড়াতে পারে। শনিবার মানা থানায় এই অভিযোগপত্র রুজু করা হয়।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলায় একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মহুয়া মৈত্র বলেন, “অমিত শাহ যদি বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে না পারেন, তাহলে প্রথম কাজ হচ্ছে অমিত শাহর মাথা কেটে টেবিলে রাখা।”

এই মন্তব্যের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলেও, তার সত্যতা এখনও নিশ্চিত নয়।মৈত্র কেন্দ্রীয় সরকারকে সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে অবহেলার অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ নিয়ে সরকার ব্যর্থ হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা গোপাল সামন্তর অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা-এর ধারা ১৯৬ (ধর্ম, জাতি, ভাষা ইত্যাদির ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা উসকে দেওয়া) এবং ১৯৭ (জাতীয় সংহতির পরিপন্থী মন্তব্য) অনুসারে মামলা রুজু হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, মহুয়া মৈত্রর এই মন্তব্য ক্যাম্পে বসবাসকারী বাংলাদেশি উদ্বাস্তুদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। ১৯৭১ সালে এই এলাকায় বহু বাংলাদেশি উদ্বাস্তু বসবাস শুরু করেছিলেন। আশঙ্কা, এই মন্তব্য অন্যান্য সম্প্রদায়ের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি করতে পারে।

ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেব সাই এক্স-এ একটি পোস্টে মহুয়া মৈত্রর বক্তব্যকে “গর্হিত ও অপরাধমূলক” বলে অভিহিত করেন।

তিনি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস এমপি যে মন্তব্য করেছেন তা শুধু অমর্যাদাকর নয়, বরং এটি একটি গুরুতর অপরাধমূলক কাজ। এই ধরণের মন্তব্য তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মদত ছাড়া সম্ভব নয়।”

তিনি আরও দাবি করেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাতে হবে, তিনি কি মহুয়া মৈত্রর এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত? যদি না হন, তবে তাঁর উচিত দলের সাংসদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া এবং জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া।”

এখন দেখার বিষয়, এই ইস্যুতে দল কী অবস্থান নেয় এবং মহুয়া মৈত্র নিজে কী প্রতিক্রিয়া দেন। বিতর্ক ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।