এডিসি দিবসে আগরতলায় আইপিএফটি-র জনসমাবেশ, গণতান্ত্রিক লড়াই অব্যাহত রাখার বার্তা মন্ত্রী শুক্লাচরণের

আগরতলা, ২৩ আগস্ট: পূর্বতন বামফ্রট সরকার দলকে দুর্বল করার চেষ্টা করলেও এখন আইপিএফটি আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আগামীদিনে অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে লড়াই জারি থাকবে। আজ এডিসি দিবসকে সামনে রেখে আগরতলায় জনসমাবেশে এমনটাই দাবি করলেন দলের সাধারণ সম্পাদক তথা মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া।

আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া বলেন,
২০০৯ সালে স্বর্গীয় এন.সি. দেববর্মার নেতৃত্বে আইপিএফটি’র পথ চলা শুরু হয়েছিল। শুরু থেকেই দলের মূল দাবি ছিল স্বশাসিত জেলাকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া। সেই দাবি আজও দল অটুট রয়েছে। তারপর থেকেই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।

তিনি কটাক্ষ, পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকার বারবার আইপিএফটি-কে দুর্বল করতে চেয়েছে। ২০১৬ সালে আগরতলায় আমাদের জনসমাবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। এমনকি সিপিএমের ক্যাডাররা আমাদের কর্মীদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছিল। কিন্তু আজ ২০২৫ সালে আমরা আবার জনসমাবেশ করছি। এটি প্রমাণ করে—আইপিএফটি ফিরে এসেছে।।মন্ত্রী জানান, দলের নেতৃত্ব ও সমর্থকরা আজ আবার ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আগামীতেও গণতান্ত্রিক পথে নিজেদের দাবি আদায়ের লড়াই অব্যাহত থাকবে।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আইপিএফটি সভাপতি প্রেম কুমার রিয়াং বলেন, ১৯৮৪ সালের ২৩ আগস্ট, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সংসদে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে ষষ্ঠ তপশিলি জনগোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষায় এক বিশেষ আইন প্রণয়ন করেন। তারই ভিত্তিতে গঠিত হয় ত্রিপুরা ট্রাইবল এরিয়া অটোনমাস ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল (টিটিএএডিসি)। তিনি আরও জানান, ২০০৮ সাল থেকে ২৩ আগস্ট দিনটিকে আমরা এডিসি দিবস হিসেবে পালন করে আসছি। আগামী দিনে দল বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় প্রচারসভা এবং সাংবিধানিক দাবির প্রচার চালাবে। কেন্দ্রের কাছে পৃথক রাজ্য গঠনের দাবিকে আরও জোরদার করার জন্যও উদ্যোগ নেওয়া হবে।