নয়াদিল্লি, ২৩ আগস্ট : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতীয় মহাকাশ দিবস উপলক্ষে একটি ভিডিও বার্তায় মহাকাশ খাতের সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানী, গবেষক, যুবসমাজ এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ১৪০ কোটির শক্তিশালী নাগরিক সমাজের দক্ষতা ও উদ্ভাবনী চিন্তার বলেই আজ ভারত মহাকাশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশ্বমঞ্চে এক উল্লেখযোগ্য অবস্থানে পৌঁছেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ভবিষ্যতে ভারতের মহাকাশ খাত আরও উঁচু শিখরে পৌঁছাবে এবং বিশ্বের অন্যতম প্রধান মহাকাশ শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। তিনি বলেন, গত ১১ বছরে সরকার মহাকাশ খাতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার এনেছে, যার ফলে যুবসমাজ, বেসরকারি সংস্থা ও স্টার্টআপগুলির অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে মহাকাশ গবেষণার নতুন নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে এবং দেশীয় প্রযুক্তির বিকাশে এক নতুন জোয়ার এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান, ভারত বর্তমানে সেমি-ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন এবং ইলেকট্রিক প্রপালশনের মতো যুগান্তকারী প্রযুক্তিতে দ্রুতগতিতে অগ্রসর হচ্ছে, এবং খুব শীঘ্রই দেশের স্বপ্নের গগনযান মিশন বাস্তবায়নের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতে ভারত নিজস্ব একটি মহাকাশ স্টেশন স্থাপন করবে বলেও তিনি দৃঢ়ভাবে উল্লেখ করেন। এটি ভারতের মহাকাশ অভিযানে এক নতুন যুগের সূচনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জাতীয় মহাকাশ দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত বার্তায় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, অল্প সময়ের মধ্যেই এই দিনটি যুবসমাজের মধ্যে উদ্দীপনা, কৌতূহল এবং উৎসবের আবহ সৃষ্টি করেছে। আজকের দিনে ভারতের মহাকাশ খাত একের পর এক সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছাচ্ছে, যা দেশকে প্রযুক্তিগত দিক থেকে বিশ্বমানের অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, মহাকাশ প্রযুক্তি এখন শুধু গবেষণা ও উৎক্ষেপণেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং প্রশাসনিক ব্যবস্থার অংশ হয়ে উঠেছে। ফসল বিমা প্রকল্পে উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে মূল্যায়ন, সমুদ্রগামী মৎস্যজীবীদের উপগ্রহ-নির্ভর নিরাপত্তা তথ্য প্রদান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় স্যাটেলাইটের সহায়তা এবং প্রধানমন্ত্রী গতিশক্তি জাতীয় মাস্টার প্ল্যানে ভূস্থানিক ডেটার ব্যবহার—সব মিলিয়ে আজ মহাকাশ প্রযুক্তি সাধারণ মানুষের জীবনকে সহজ ও কার্যকর করে তুলছে।
মোদী বলেন, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা আজ শুধু প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ নয়, বরং আত্মনির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠেছে। দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মহাকাশ খাত এক নতুন দিগন্ত উন্মোচনের দরজা খুলে দিয়েছে, যা আগামী দিনের ভারতকে বৈশ্বিক নেতৃত্বের আসনে বসাবে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, “ভারতের মহাকাশ যাত্রা এখন শুধু শুরু, আসল উড়ান এখনও বাকি।”

