গুয়াহাটি, ২৩ আগস্ট: আসাম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এবং লোকসভায় বিরোধী দলের উপনেতা গৌরব গগৈ কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী নিতিন গড়করিকে চিঠি লিখে রাজ্যের জাতীয় সড়কগুলির দুরবস্থার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি স্পষ্টভাবে দাবি করেছেন, যতক্ষণ না রাস্তার অবস্থা উন্নত হয় ও সেগুলি মোটর চলাচলের উপযোগী হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত টোল আদায় স্থগিত রাখতে হবে।
চিঠিতে গগৈ উল্লেখ করেন, এনএইচ-২৭ এবং এনএইচ-৩৭-এর গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলিতে বড় বড় গর্ত, অসম পিচ এবং নিয়মিত জলাবদ্ধতার কারণে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তবুও, ন্যাশনাল হাইওয়েজ অথরিটি অফ ইন্ডিয়া সোনাপুর-রাহা এবং বাইহাটা চারিয়ালি (মদনপুর) – নলবাড়ি (গাল্লা টোল প্লাজা) অংশে টোল আদায় চালিয়ে যাচ্ছে।
গগৈ বলেন, “এই অবস্থা জীবনের ঝুঁকি সৃষ্টি করছে, গাড়ির ক্ষতি করছে এবং ভ্রমণের সময় ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দিচ্ছে।” তিনি জানান, টোল প্লাজাগুলির বিরুদ্ধেই শুধু নয়, নতুন টোল প্রস্তাবের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে। বন্যা, বেকারত্ব এবং মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে টোল চার্জ বৃদ্ধি জনগণের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে।
ট্রাকচালক ও পরিবহণ সংস্থাগুলি অতিরিক্ত ব্যয়ের মুখে পড়ে পড়ছে, যার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাচ্ছে এবং সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়ছে বলে তিনি জানান।
চিঠিতে গগৈ সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক এক রায়ের উদাহরণ দেন, যেখানে কেরালার NH-544 সম্পর্কে বলা হয়, যদি রাস্তার অবস্থা চলাচলের অযোগ্য হয়, তাহলে জনগণকে টোল দিতে বাধ্য করা যায় না। সেই রায়ে স্পষ্ট বলা হয়, নিরাপদ ও নিয়ন্ত্রিত রাস্তাঘাটের ব্যবস্থা ছাড়া টোল আদায় অবৈধ।
তিনি জানান, এর আগেও এনএইচ -৩৭ এর অবস্থা নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন, কিন্তু বর্তমানে NH-২৭ ও NH-৩৭ দুটোরই পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
সবশেষে গগৈ কেন্দ্রকে আহ্বান জানান, অবিলম্বে নির্দিষ্ট টোল প্লাজাগুলিতে টোল আদায় স্থগিত করে, রাস্তা সংস্কার সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তা বন্ধ রাখতে হবে। একই সঙ্গে, আসামের সব টোল প্লাজায় একটি পূর্ণাঙ্গ অডিট করে রক্ষণাবেক্ষণ মানদণ্ড মেনে চলা হচ্ছে কি না তা নিশ্চিত করার জন্যও তিনি অনুরোধ জানান।

