ত্রিপুরা এখন মণিপুর ও মিজোরামের ধান বীজের সার্টিফিকেশন দিতে পারবে : কৃষিমন্ত্রী

আগরতলা, ২০ আগস্ট : ত্রিপুরা রাজ্য এখন থেকে প্রতিবেশী রাজ্য মণিপুর ও মিজোরামের ধান বীজের সার্টিফিকেশন দিতে পারবে বলে জানালেন রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী রতন লাল নাথ। কেন্দ্র সরকার এই অনুমোদন দিয়েছে বলে আজ এক অনুষ্ঠানে তিনি জানান।

আজ আগরতলার এডি নগরের রাজ্য কৃষি গবেষণা কেন্দ্র প্রাঙ্গণে ড. এম. এস. স্বামীনাথনের মূর্তি উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা কৃষি দপ্তর যদি মণিপুর ও মিজোরামের ধান বীজ সার্টিফাই করে, তবে সেটি প্রকৃতপক্ষে সঠিক সার্টিফিকেশন হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, যদিও কিছুটা দেরিতে হলেও গবেষণা কেন্দ্রকে ধন্যবাদ জানাই এই মূর্তি স্থাপনের জন্য। ড. স্বামীনাথনের অবদানেই দেশের কৃষি একটি সুসংবদ্ধ রূপ পেয়েছে। তিনি আমাদের দেশকে খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বনির্ভর করতে কাজ করেছিলেন।

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছেন যে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের অভ্যন্তরে ৭২ শতাংশ ভোজ্য তেল উৎপাদন করতে হবে। সেই লক্ষ্যেই সরকার ভোজ্য তেল উৎপাদনের ওপর জোর দিচ্ছে। কারণ মাছ, দুধ আমদানি করতে হয় না, কিন্তু ভোজ্য তেল আমদানি করতে হয়, তাই আমরা এটার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি, বলেন মন্ত্রী। ড. স্বামীনাথনের দৃষ্টিভঙ্গির প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, “তিনি সবসময় বলতেন, কৃষি ব্যর্থ হলে, অন্য কিছুতেই উন্নয়ন সম্ভব নয়। যদি কৃষির জন্য ভালো বাজেট না করা যায়, তবে অন্য বাজেটগুলোও ব্যর্থ হবে।”

তিনি আরও জানান, সমন্বিত চাষের মাধ্যমে রাজ্যের কৃষি শক্তিশালী করার কাজ চলছে। আমাদের দেশ থেকে মাছ, ডিম, চাল, দুধ, চিনি, মশলা বিদেশে রপ্তানি হয়। এডি নগরে ধানের ওপর এবং নাগিছড়ায় উদ্যানপালনের সমস্ত বিষয়ে গবেষণা হয়। আমাদের দুইটি গবেষণা কেন্দ্র আছে। আমি রাজ্যের সমস্ত কৃষকদের অনুরোধ করছি, যেন তারা কৃষি কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন, যাতে আমরা আধুনিক কৃষির পথে এগোতে পারি, বলেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ড. স্বামীনাথনের দেখানো পথ অনুসরণ করেছেন, যার ফলে আজ ভারত ধান উৎপাদনে বিশ্বে দ্বিতীয় এবং আমরা চাল রপ্তানিও করি। এর কৃতিত্ব অবশ্যই কৃষকদের। মন্ত্রী আরও জানান, রাজ্যের ৫৮টি আরডি ব্লকের মধ্যে ৩১টি ব্লক এখন খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বনির্ভর। সম্প্রতি চন্ডীপুর আরডি ব্লককেও এই তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। আমরা চাই রাজ্যের প্রতিটি জেলা ও মহকুমা কৃষি এবং সম্পর্কিত ক্ষেত্রগুলিতে স্বনির্ভর হয়ে উঠুক, বলে জানান কৃষিমন্ত্রী রতন লাল নাথ।