মহারাজা বীর বিক্রমের ঐতিহ্য রক্ষায় ঐক্যের আহ্বান প্রদ্যোত দেববর্মার

আগরতলা, ১৭ আগস্ট: ত্রিপুরার গর্ব, আধুনিক ত্রিপুরার রচয়িতা মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুরের জন্মবার্ষিকীকে সামনে রেখে রাজ্যজুড়ে একতা, ভালোবাসা ও মানবিকতার বাতাবরণ গড়ে তোলার আহ্বান জানালেন তিপ্রা মথার সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর মানিক্য দেববর্মন। রবিবার মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ত্রিপুরাবাসীকে দিনটি উদযাপনের আহ্বান জানিয়েছেন।

রবিবার এক আবেগঘন পোস্টে প্রদ্যোত বলেন, “মহারাজা শুধু একজন রাজা ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন পথপ্রদর্শক। তাঁর অবদান আমরা ভুলে গেলে, আমাদের আত্মপরিচয় হারিয়ে যাবে।” তিনি আরো বলেন, “যদিও আজ দেশে রাজতন্ত্র নেই, তবে রাজাদের অবদান আমরা ভুলে গেলে আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও পরিচয় হারিয়ে যাবে। মহারাজা বীর বিক্রম ছিলেন আধুনিক ত্রিপুরার স্থপতি।”

প্রদ্যোত আরও জানান, ভারতের সংবিধান কার্যকর হওয়ার আগেই ত্রিপুরার নিজস্ব সংবিধান ছিল, যা মহারাজার প্রগতিশীল মনোভাবের প্রমাণ। তিনি বলেন,“একজন মহান শাসক শুধু উন্নয়নই করেন না, তিনি মানবতাও লালন করেন। বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ববঙ্গে) নির্যাতনের শিকার মানুষদের আশ্রয় দিয়েছিলেন মহারাজা, মহাত্মা গান্ধীর অনুরোধে।”

এই ১৯ আগস্ট, মহারাজার জন্মবার্ষিকীতে শিশুদের মধ্যে খাবার বিতরণ, হাসপাতালের রোগীদের মাঝে খাবার পৌঁছে দেওয়া, নিজ নিজ গ্রাম পরিচ্ছন্ন রাখা, একে অপরের প্রতি ভালোবাসা ও সহানুভূতি প্রদর্শন করার বিশেষ অনুরোধ করেন মথা সুপ্রিম।

প্রদ্যোত স্মরণ করিয়ে দেন—“যদি মহারাজা আরও কয়েক বছর বেঁচে থাকতেন, ত্রিপুরা আজ আরও এগিয়ে থাকত। কিন্তু আজও, আমরা তাঁর স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখতে পারি – একমাত্র ঐক্য ও ভালোবাসার মাধ্যমে।” তিনি আরো বলেন,“ঘৃণা নয়, ভালোবাসা শেখান। বিভাজন নয়, ঐক্য গড়ে তুলুন। এই দিনটিকে শুধুই স্মরণ নয়, বরং কর্মের মাধ্যমে উদযাপন করুন।”