আগরতলা, ১৬ আগস্ট : এক গর্ভবতী মহিলা ডাক্তার দেখানোর জন্য জিবি হাসপাতালে গিয়েছিলেন। কিন্তু হাসপাতালের বাথরুমে মহিলা সন্তান প্রসব করেন। পরে হাসপাতালের বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীরা দেখেন মহিলার স্বামী শিশুটিকে ব্যাগ ঢুকিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। তখন তাকে আটক করা হয়। সাথে সাথে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। পুলিশ শিশুটিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।
ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, মোহনপুর কলকলিয়া এলাকার নিপু দাস তাঁর স্ত্রীকে ডাক্তার দেখানোর জন্য জিবি হাসপাতালে গিয়েছিলেন। কিন্তু ডাক্তার দেখানোর আগেই হাসপাতালের বাথরুমে মহিলা পুত্র সন্তান প্রসব করেন। পরবর্তী সময়ে মহিলা প্লাসেন্টা নিয়ে ডাক্তার দেখাতে গেলে তাঁকে বাচ্চার কথা জিজ্ঞাসা করা হলে সে কোনো উত্তর দেয় নি। ওই সময় হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মীরা নিপু দাসকে একটি বাজারের ব্যাগে করে বাচ্চা নিয়ে বেরিয়ে যেতে দেখতে পান। সাথে সাথে তাঁরা নিপু দাসকে আটক করে এবং পুলিশকে খবর দিয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে মৃত শিশুর দেহ উদ্ধার করে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত নিপু দাস বলেন, গতকাল রাতে দাঁত ব্যাথার ওষুধ খেয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। তারপর থেকেই স্ত্রী ব্যাথা শুরু হয়। আজ সকালে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য বলেছিলেন তাঁদের। কিন্তু তাঁর আগেই বাথরুমে তাঁর স্ত্রী ছেলে সন্তান প্রসব করেন। নিপু দাসের দাবি, তাঁর স্ত্রী ওই তাঁকে বাচ্চা ব্যাগে করে বাইরে নিয়ে যেতে বলেছিলেন। ওই ঘটনায় গোটা হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পুলিশ ওই ঘটনার তদন্তে নেমেছে।

