নয়াদিল্লি, ১১ আগস্ট – নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনের নেতা ও সমাজকর্মী মেধা পাটকরের বিরুদ্ধে দিল্লির বর্তমান লেফটেন্যান্ট গভর্নর (এল-জি) বিনয় কুমার সাক্সেনা দায়ের করা ফৌজদারি মানহানি মামলায় দোষসিদ্ধি বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার বিচারপতি এম.এম. সুন্দ্রেশ ও বিচারপতি এন. কোটিস্বর সিংয়ের বেঞ্চ দিল্লি হাই কোর্টের রায়ে সিলমোহর দেয়।
তবে আদালত মেধা পাটকরকে ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ বাতিল করেছে এবং তার ওপর আরোপিত প্রবেশন শর্তও সংশোধন করেছে। নতুন নির্দেশ অনুযায়ী, তাঁকে কারাদণ্ড ভোগের পরিবর্তে জামিনের বন্ড দিতে হবে এবং প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে থাকার শর্ত সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মামলার ইতিহাস অনুযায়ী, ২০০১ সালে বিনয় কুমার সাক্সেনা—যিনি তখন আহমেদাবাদ-ভিত্তিক এনজিও ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর সিভিল লিবার্টিজ-এর প্রধান ছিলেন—মেধা পাটকরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ, ২০০০ সালের ২৪ নভেম্বর মেধা পাটকর দিলিপ গোহিল নামে এক সাংবাদিককে একটি প্রেস নোট ইমেইল করেন, যা পরে গুজরাটি ভাষায় প্রকাশিত হয় এবং সাক্সেনার দাবি অনুযায়ী সেটি তাঁর মানহানি করে।
সিনিয়র আইনজীবী সঞ্জয় পারিখ সুপ্রিম কোর্টে যুক্তি দেন যে, হাই কোর্ট দুই গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীর বক্তব্যে আস্থা না রেখেও দোষসিদ্ধি বহাল রেখেছে। এছাড়া, ইমেইলটি প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়, কারণ এটি এভিডেন্স অ্যাক্ট-এর ৬৫বি ধারায় শংসাপত্রিত ছিল না।
তবে শীর্ষ আদালত দোষসিদ্ধি নিয়ে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করেছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, একবার হাই কোর্ট সিআরপিসি ৩৬০ ধারা অনুসারে প্রবেশন মঞ্জুর করলে প্রবেশন অফ অফেন্ডারস অ্যাক্ট, ১৯৫৮-এর ধারা ৪(৩) অনুসারে তত্ত্বাবধান বা ক্ষতিপূরণ আরোপ আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।
দিল্লি হাই কোর্ট গত ২৯ জুলাই এই দোষসিদ্ধি বহাল রাখে এবং জরিমানা কমিয়ে প্রবেশন মঞ্জুর করেছিল।

